গ্রেফতার পিএ, আর্থিক তছরূপকাণ্ডে অনিল দেশমুখকে সমন ইডির

ED summons Anil Deshmukh: সূত্রের খবর, ইডি আধিকারিকরা ৪ কোটি টাকা তছরূপের খোঁজ পেয়েছেন।

গ্রেফতার পিএ, আর্থিক তছরূপকাণ্ডে অনিল দেশমুখকে সমন ইডির
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 26, 2021 | 10:50 AM

মুম্বই: আর্থিক তছরূপকাণ্ডে ইডির সমনের মুখে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ (Anil Deshmukh)। শনিবার বেলা ১১ টায় তাঁকে সমন পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা অনিলের ব্যক্তিগত সহায়ক খুন্দন শিন্দে ও ব্যক্তিগত সেক্রেটারি সঞ্জীব পলন্দেকে ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করার পর গ্রেফতার করেছে।

আর্থিক তছরূপের বিশেষ পিএমএলএ আদালতে শনিবারই তোলা হবে সঞ্জীব ও খুন্দনকে। শুক্রবার সকালেই ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা অনিল দেশমুখের নাগপুরের বাড়িতে ও মুম্বইয়ের ওরলি এবং মালাবার হিলের বাড়িতে রেড করেন। রেড হয় খুন্দন ও সঞ্জীবের বাড়িতেও। এরপর অনিল দেশমুখের পিএ ও সেক্রেটারিকে দক্ষিণ মুম্বইয়ের অফিসে নিয়ে আসেন আধিকারিকরা।

সূত্রের খবর, ইডি আধিকারিকরা ৪ কোটি টাকা তছরূপের খোঁজ পেয়েছেন। যা ১২ বার মালিকের কাছ থেকে কয়েক মাস আগে অ্যাসিসটেন্ট ইনসপেক্ট সচিন ভাজ়ে নিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এই টাকাই পরোক্ষভাবে অনিল দেশমুখের কাছে এসেছিল বলে জানতে পেরেছেন আধিকারিকরা। সূত্রের দাবি ইডির কাছে যা প্রমাণ রয়েছে, তার মাধ্যমে গ্রেফতার করা সম্ভব অনিল দেশমুখকে। তবে তার আগে যা যা করণীয় সব করবে ইডি, এমনটাই জানা গিয়েছে।

মুকেশ অম্বানীর বাড়ির সামনে থেকে বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করেই মার্চ মাসে তৎকালীন পুলিশ কমিশনার পরমবীর সিংকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর বদলে দায়িত্ব নেন হেমন্ত নাগরালে। এই ঘটনার পরই প্রাক্তন পুলিশকর্তা উদ্ধব ঠাকরেকে একটি ছয় পাতার একটি চিঠি লেখেন। সেই চিঠিতে তিনি জানান, অম্বানীকাণ্ডে ধৃত পুলিশ অফিসার সচিন ভাজ়ে এবং এসিপি সঞ্জয় পাটিলকে প্রতিমাসে ১০০ কোটি টাকা তোলাবাজির লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছিলেন। এর জন্য মুম্বইয়ের ১৬০০ বার-রেস্তরাঁকেও চিহ্নিত করেছিলেন তিনি।

প্রথম থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করলেও বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট ও পরে বম্বে হাইকোর্টে যায়। দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত সিবিআইকে অনিল দেশমুখের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্তের নির্দেশ দেন এবং কোনও তথ্য প্রমাণ মিললে এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দেন। এরপরই সিবিআই এফআইআর দায়ের করে এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফেও অর্থ তছরুপের অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু করা হয়।

অন্যদিকে, বম্বে হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পরই অনিল দেশমুখে ৫ এপ্রিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন। তিনি জানান, নৈতিকতার খাতিরেই ইস্তফা দিচ্ছেন তিনি।

আরও পড়ুন: ভারতে ছড়ানো ডেল্টাই বিশ্বের সবচেয়ে সংক্রামক স্ট্রেন: হু