মুম্বই: সদ্য সামনে এসেছে ইজরায়েলি স্পাইওয়্যার নিয়ে একটি চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট। দেখা গিয়েছে যাদের ফোনে আড়িপাতা হয়েছে এই পেগাসাসের মাধ্যমে, সেই তালিকা থেকে বাদ যাননি মন্ত্রীরাও। একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সাংবাদিকদের ফোনেও আড়িপাতা হয়েছে বলে দাবি ওই রিপোর্টে। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরই এক নির্দেশিকা জারি করল মহারাষ্ট্র সরকার। সরকারি কর্মীদের এক বিশেষ নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যাতে তাঁরা খুব প্রয়োজন ছাড়া মোবাইল ব্যবহার না করেন।
মহারাষ্ট্রের জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্টের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, খুব প্রয়োজন পড়লে তবেই অফিসের কাজে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যাবে। যদিও ওই নির্দেশিকায় পেগাসাসের কোনও উল্লেখ নেই। মহারাষ্ট্র সরকারের দাবি, অফিস চলাকালীন অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করে। নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে যে, মোবাইল যদি ব্যবহার করতেই হয় তাহলে টেক্সট মেসেজ করতে হবে, এই ডিভাইসের মাধ্যমে যত কম কথা বলা যায় ততই ভালো। বিশ্লেষকদের অনুমান, পেগাসাসই এই নির্দেশিকার অন্যতম কারণ।
নির্দেশিকায় আরও উল্লেখ, ‘সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার থেকে দূরে থাকতে হবে, অফিস চলাকালীন পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে গেলে অফিস থেকে বেরিয়ে কথা বলতে হবে।’ এ ছাড়া নীচু স্বরে কথা বলতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অফিসের মিটিং চলাকালীন ফোন সাইলেন্ট মোডে রাখতে হবে। বারবার মেসেজ চেক করা, ইন্টারনেট ঘাঁটাঘাঁটিও বন্ধ করার কথা বলা হয়েছে। সরকারি কাজের তথ্য পাচার হয়ে যেতে পারে, এমন আশঙ্কাতেই এই নির্দেশিকা কি না, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
সম্প্রতি জানা গিয়েছে শুধু রাজনীতিকরাই নন, পেগাসাস স্পাইওয়্যারের শিকার হয়েছিলেন শিল্পপতি অনিল অম্বানী। তালিকায় নাম রয়েছে উড়ান শিল্পের বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বেরও। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে জনতার সামনে রাফাল ইস্যুটি উঠে আসার পরই অনিল অম্বানী সহ রিলায়েন্স গ্রুপের অন্যান্য শীর্ষ কর্তাদের উপর নজরদারি রাখা হচ্ছিল।আরও পড়ুন: ‘আমার সব ফোনই ট্যাপ করা’, পেগাসাস নিয়ে রাহুলের তদন্ত খারিজ করে দিল কেন্দ্র