Mahua Moitra: সাংসদ পদ খারিজ, এবার কী পদক্ষেপ করবেন মহুয়া?

Mahua Moitra: তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজ হয়েছে। মহুয়াকে আত্মপক্ষ সমর্থনে কিছু বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি, কেবল এথিক্স কমিটির সুপারিশে মান্যতা দিয়েই তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হয়েছে বলে সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল থেকে অবিজেপি সমস্ত দলই। কিন্তু, এবার মহুয়ার রাজনৈতির ভবিষ্যৎ কী হবে?

Mahua Moitra: সাংসদ পদ খারিজ, এবার কী পদক্ষেপ করবেন মহুয়া?
মহুয়া মৈত্রImage Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 09, 2023 | 9:06 AM

নয়া দিল্লি: তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra) সাংসদ পদ খারিজ হয়েছে। মহুয়াকে আত্মপক্ষ সমর্থনে কিছু বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি, কেবল এথিক্স কমিটির সুপারিশে মান্যতা দিয়েই তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হয়েছে বলে সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল থেকে অবিজেপি সমস্ত দলই। কিন্তু, এবার মহুয়ার রাজনৈতির ভবিষ্যৎ কী হবে? তিনি কি আর ভোটে দাঁড়াতে পারবেন? সংসদ থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পরই ‘রণংদেহী’ মূর্তিতে মহুয়া যে ‘শ্মশানে চিতা তোলা’র হুঙ্কার দিয়েছেন, তাতে তিনি কী পদক্ষেপ করবেন? তিনি কি সুপ্রিম কোর্টে যাবেন? এমনই একাধিক প্রশ্ন উঠছে। যদিও এই সমস্ত প্রশ্নের স্পষ্ট কোনও জবাব এখনও মহুয়া বা তৃণমূলের তরফে জানানো হয়নি। তবে মহুয়ার সামনে সমস্ত পথ-ই খোলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন লোকসভার প্রাক্তন সচিব জেনারেল পিডিটি আচারি। মহুয়ার ক্ষেত্রে সংসদীয় নিয়মটা ঠিক কী, দেখে নেওয়া যাক একনজরে।

লোকসভার প্রাক্তন সচিব পিডিটি আচারি জানান, সাধারণত পদ্ধতিগত অনিয়মের ভিত্তিতে হাউসের কার্যধারাকে চ্যালেঞ্জ করা যায় না। এটা সংবিধানের ১২২ নম্বর অনুচ্ছেদে স্পষ্ট করা রয়েছে। তবে এথিক্স কমিটির তদন্তের অগ্রাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে। প্রাথমিক রিপোর্টকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এটা আদতে প্রিভিলেজ কমিটির তদন্তের বিষয় ছিল বলেও জানান আচারি।

অন্যদিকে, মহুয়া মৈত্রের সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার পথও খোলা থাকছে। ন্যায় বিচার পাওয়ার এবং সঠিকভাবে শুনানি হওয়ার দাবিতে এথিক্স কমিটির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্ট বা উচ্চ আদালতে আপিল দায়ের করতে পারেন মহুয়া। এছাড়া পুনরায় লোকসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতার করার সুযোগও রয়েছে মহুয়ার।

ভারতের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী, কোনও অভিযোগে সাংসদ পদ খারিজ হলেই তাঁর পুনরায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ হারায় না। কোনও ব্যক্তি যদি ফৌজদারী মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন এবং তাঁর ২ বছরের বেশি কারাদণ্ড হয় তা হলে অন্তত ৫ বছরের জন্য তিনি আর ভোটে লড়তে পারবেন না। যেটা রাহুল গান্ধীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়েছিল। ফৌজদারী মামলায় রাহুল গান্ধী অভিযুক্ত হওয়ায় তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হয় এবং আগামী লোকসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ বিলীন হয়ে যায়। যদিও শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম-রায়ে সাংসদ পদ ফিরে পান তিনি। মহুয়ার ক্ষেত্রে কোনও ফৌজদারী মামলা হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনে তাঁর ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সম্পূর্ণ সুযোগ রয়েছে।

মহুয়া যে আগামী লোকসভা নির্বাচনে লড়বেন তা শুক্রবার সংসদ থেকেই বেরিয়েই একপ্রকার স্পষ্ট করে দেন। বিজেপির বিনাশের শেষ দাবি করে তিনি আবার প্রত্যয়ের সঙ্গে সংসদে ফিরে আসবেন বলে জানিয়েছেন মহুয়া। যদিও লোকসভা নির্বাচন সামনে চলে আসায় আর কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে উপ-নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনই এখন মহুয়া তথা তৃণমূলের ‘পাখির চোখ’ বলে মনে করা হচ্ছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে মহুয়াকে কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে তিনি আবার কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র থেকেই পরবর্তী বছর প্রার্থী হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।