নয়া দিল্লি: সাংসদ পদ খারিজের পর এবার সরকারি বাংলো খালি করার নোটিশ পাঠানো হচ্ছে মহুয়া মৈত্রকে। সূত্রের খবর, নোটিশ পাওয়ার আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তাঁর সরকারী বাসভবন খালি করে দিতে হবে প্রাক্তন সাংসদ তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রীকে। ঘুষের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করার অভিযোগের ভিত্তিতে লোকসভা থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর, মহুয়া মৈত্র এখন সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁর সাংসদ পদ খারিজের সিদ্ধান্তকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছেন তিনি। তার মধ্যেই এই নোটিশ পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর), লোকসভায় মহুয়ার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে এথিক্স কমিটির তদন্ত রিপোর্ট গ্রহণ করা হয়। সেই রিপোর্টে মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশ করা হয়েছিল। ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানির কাছ থেকে উপহার ও নগদ গ্রহণ করে, সংসদে তাঁর স্বার্থ রক্ষাকারী প্রশ্ন করতেন মহুয়া, এমনই অভিযোগ রয়েছে প্রাক্তন সাংসদের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের বিষয়ে অকাট্য প্রমাণ না পাওয়া গেলেও, এথিক্স কমিটি জানিয়েছিল, অননুমোদিত ব্যক্তিদের সঙ্গে তাঁর লোকসভা ওয়েবসাইটের লগইন ডিটেইলস ভাগ করে লোকসভার অবমাননা করেছেন এবং অনৈতিক আচরণ করেছেন মহুয়া মৈত্র। এই ধরনের কাজে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। এরপর, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী মহুয়াকে লোকসভা থেকে বহিষ্কারের প্রস্তাব তোলেন। ধ্বনিভোটে তা সভায় গৃহীত হয়।
এর কয়েক ঘণ্টা পরই, লোকসভা সচিবালয় এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদকে লোকসভা থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা করে। এরপর কয়েকটা দিন যেতে না যেতেই, সংসদের হাউজিং কমিটি, তৃণমূল নেত্রীকে তাঁর সরকারি বাংলো খালি করার নির্দেশ দিতে বলে আবাসন ও নগর বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রককে একটি চিঠি দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এর আগে, মোদী পদবি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায়, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল গুজরাটের এক আদালত। দুই বছরের কারাদণ্ড হওয়ার দেরে সাংসদ পদ খুইয়েছিলেন রাহুল। তাঁকেও অতি দ্রুত বাংলো খালি করার নোটিশ পাঠিয়েছিল সংসদের হাউজিং কমিটি। যা নিয়ে কমিটির বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছিল বিরোধী দলগুলি। এই ক্ষেত্রেও সেই একই রকমের অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত, এই বিষয়ে মহুয়া মৈত্রর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।