নয়া দিল্লি : ত্রিপুরা, গোয়া থেকে মায়ানগরী মুম্বই, তৃণমূল ক্রমশ জাতীয় স্তরে বিস্তার বাড়াতে তৎপর হয়েছে। কিছুদিন আগেই নিজে গোয়া সফরে গিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই গোয়ার ইস্যুকে সামনে এনে সরব হলেন তৃণমূল সাংসদ। গোয়ায় চার্চ ভেঙে অবৈধ নির্মাণ কেন গড়ে তোলা হচ্ছে, সেই ইস্যুতে আজ বুধবার লোকসভায় সরব হলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।
এ দিন তিনি উল্লেখ করেন, গোয়ায় একটি চার্চ ভেঙে অবৈধভাবে এক বিলাসবহুল হোটেল তৈরি করা হচ্ছে। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভের অধীনে থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে ওই চার্চ ভাঙা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মহুয়া। তিনি বলেন, চাপে পড়ে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী চার্চ ভাঙার নির্দেশ প্রত্যাহার করেছে ঠিকই, তবে ওই অবৈধ নির্মাণও ভেঙে ফেলার দাবি জানিয়েছেন মহুয়া।
উল্লেখ্য, গোয়ার ইস্যু নিয়ে মহুয়ার এই দাবি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। লোকসভায় সর্বসমক্ষে এই ইস্যুকে সামনে এনে তৃণমূল আরও একবার সর্বভারতীয় স্তরে নিজেদের অস্তিত্ব প্রমাণ করতে চাইছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।
ওল্ড গোয়া হেরিটেজ কমপ্লেক্সের আশেপাশে একটি বাংলো বানানোকে কেন্দ্র করেই আদতে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা। ইতিমধ্যেই গোয়ার ঐতিহ্যকে নষ্ট করার অভিযোগে সত্যাগ্রহ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে ‘সেভ ওল্ড গোয়া অ্যাকশন কমিটি’। গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি জানিয়েছে, এই অনভিপ্রেত নির্মাণ নিয়ে অবিলম্বে সরকারে ক্ষমা চাওয়া উচিৎ। তৃণমূলও এই বিষয়টি সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে তোলার কথা আগেই জানিয়েছিল।
এই ইস্যুতে আন্দোলনরত বিক্ষোভকারীদের সঙ্গেও দেখা করেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তিনি আগেই জানিয়েছেন, আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া যে জায়গাটিতে সংরক্ষণ করে রেখেছিল, সেখানে বেআইনি নির্মাণ কিছুতেই মেনে নেওয়া হবে না। সংসদ অধিবেশনে বিষয়টিকে তোলা হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। মহুয়ার অভিযোগ, মুম্বইয়ের এক বিজেপি নেতার স্বামী বাংলো নির্মাণের জন্য জমিটি কিনেছেন।
সরকারের ওপর চাপ বাড়িয়েছে গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টিও। জিএফপি বিধায়ক বিজয় সরদেশাই, রাজ্যের শহর পরিকল্পনা মন্ত্রী চন্দ্রকান্ত কেলভেকরকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন আগামী ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট এলাকা নির্মাণে অনুমতি প্রত্যাহার করে আসল সত্য সকলের সামনে তুলে ধরতে।
আরও পড়ুন : TMC Clash: প্রধান অপসারণের জের,বিধায়ক ঘনিষ্ঠ অঞ্চল সভাপতিকে সরিয়ে দিলেন জেলা সভাপতি