TMC Clash: প্রধান অপসারণের জের,বিধায়ক ঘনিষ্ঠ অঞ্চল সভাপতিকে সরিয়ে দিলেন জেলা সভাপতি

Coochbehar: জেলা পরিষদ সদস্য নুর আলম হোসেনকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি বীরেন্দ্র নাথ বর্মণ ও উদয়ন গুহ।

TMC Clash: প্রধান অপসারণের জের,বিধায়ক ঘনিষ্ঠ অঞ্চল সভাপতিকে সরিয়ে দিলেন জেলা সভাপতি
তৃণমূলের সাংবাদিক বৈঠক
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 01, 2021 | 3:59 PM

কোচবিহার: বিধায়ক ঘনিষ্ঠ অঞ্চল সভাপতিকে দল থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। গিতালদহ এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে অনাস্থার পর বিধায়ক জগদীশ বর্মা বসুনিয়া ঘনিষ্ঠ অঞ্চল সভাপতি মফুজার রহমানকে সরিয়ে দেওয়া হল দল থেকে। তার জায়গায় সভাপতি হলেন সদ্য অপসারিত প্রধান আবুয়াল আজাদ । আর এই ঘটনার জেরে তৃণমূলের দলীয় কোন্দল ফের একবার প্রকাশ্যে ।

ইতিপূর্বে বিধায়ক জগদীশ বাবুর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত জেলা পরিষদ সদস্য নুর আলম হোসেনকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি বীরেন্দ্র নাথ বর্মণ ও উদয়ন গুহ। আর এই নিয়ে দলের অন্দরে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়।

এই বিষয়ে মফুজার রহমান বলেন, “দল এখন যে দায়িত্ব দিয়েছে সেই দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করব। তবে চক্রান্ত চলছে। বড় একটা চক্রান্ত চলছে। আমি কারও নাম তুলন না। তবে উপর তলার চক্রান্তের শিকার আমি।”

নুরআলম হোসেনের পর সিতাইয়ের বিধায়ক ঘনিষ্ঠ অঞ্চল সভাপতি মাফুজার রহমানকে বহিষ্কার করে দল । আজ জেলা সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ ও চেয়ারম্যান উদয়ন গুহ এই সিদ্ধান্তের কথা জানান ৷ উভয়ের বক্তব্য, সিতাইয়ের গীতালদহ ১ অঞ্চলের প্রধান আবুয়াল আজাদের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি অনাস্থার দাবি তুলে তলবি সভা করা হয়। সেই অনাস্থার পিছনে অঞ্চল সভাপতি মাফুজার রহমান জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। অপরদিকে দায়িত্ব পেয়ে তা পালন করবেন বলে জানান আবুয়াল আজাদ।

প্রসঙ্গত, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বিরাম নেই কোচবিহার জেলা তৃণমূলের (TMC)।  দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ের জেরে সরতে হচ্ছে গীতালদহের ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে। তলবি সভা ঘিরে চরম উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে জারি করতেব হয়েছে ১৪৪ ধারা।

একদিকে সিতাই কেন্দ্রের বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়া। অন্যদিকে জেলা তৃণমূল সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মন ও দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ। দুই শিবিরের গোলমালের প্রভাব পড়েছে গীতালদহ এক গ্রাম পঞ্চায়েতে। দুর্নীতির অভিযোগ এনে পঞ্চায়েত প্রধান আবু আল আজাদের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন ছজন পঞ্চায়েত সদস্য। এরপরই আবু আল আজাদকে সরাতে ডাকা হয় তলবি সভা। আর এই তলবি সভা ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে। পঞ্চায়েত অফিস এলাকায়  ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। মোতায়েন পুলিশ, কমব্যাট ফোর্স।

স্থানীয় এক গ্রামবাসীর কথায়, “এখানে সারাদিনই লড়াই, অশান্তি। মারপিট, ভাঙচুর চলছেই। আমরা রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছি। এই বোধহয় প্রাণটা গেল। তলবি সভা নিয়েও ঝামেলা হয়ে গিয়েছে। চতু্র্দিকে খালি পুলিশ আর পুলিশ।”

আরও পড়ুন: Calutta High Court: ওড়না বা হাত ধরে টানা POCSO আইন অনুযায়ী যৌন হেনস্থা নয়: কলকাতা হাইকোর্ট