AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Mahua Moitra tweets : ‘গোমূত্র খেয়ে তৈরি থাকবেন…’, সংসদে বক্তব্য পেশের আগেই বিজেপিকে বেনজির টুইটবাণ মহুয়ার

নয়া দিল্লি : সংসদে জ্বালাময়ী ভাষণ দেওয়ার জন্য দিল্লির রাজনৈতিক মহলে বেশ নাম আছে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্রের। পাশাপাশি টুইটারেও বিজেপিকে বারবার বিঁধেছেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ। আর এই মহুয়াই বৃহস্পতিবার সংসদে নিজের ভাষণের আগে টুইটারে বিজেপিকে কটাক্ষ করে শিরোনামে উঠলেন। টুইটে গোমূত্র শটস খেতে ‘পরামর্শ’ দিলেন তৃণমূল সাংসদ। টুইটে মহুয়া লেখেন, ‘শুধু বিজেপিকে আগের থেকে […]

Mahua Moitra tweets : ‘গোমূত্র খেয়ে তৈরি থাকবেন...’, সংসদে বক্তব্য পেশের আগেই বিজেপিকে বেনজির টুইটবাণ মহুয়ার
ফাইল ছবি
| Edited By: | Updated on: Feb 03, 2022 | 10:03 PM
Share

নয়া দিল্লি : সংসদে জ্বালাময়ী ভাষণ দেওয়ার জন্য দিল্লির রাজনৈতিক মহলে বেশ নাম আছে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্রের। পাশাপাশি টুইটারেও বিজেপিকে বারবার বিঁধেছেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ। আর এই মহুয়াই বৃহস্পতিবার সংসদে নিজের ভাষণের আগে টুইটারে বিজেপিকে কটাক্ষ করে শিরোনামে উঠলেন। টুইটে গোমূত্র শটস খেতে ‘পরামর্শ’ দিলেন তৃণমূল সাংসদ। টুইটে মহুয়া লেখেন, ‘শুধু বিজেপিকে আগের থেকে সতর্ক করে দিতে চাইছি যাতে তারা প্রস্তুত থাকে। তারা তাদের কাল্পনিক পয়েন্ট অফ অর্ডার দেওয়ার জন্য তৈরি থাকুক। এবং কিছু গোমূত্র শটসও খেয়ে নেবেন।’

উল্লেখ্য, গরু রক্ষার বিষয়টি বিজেপির অন্যতম রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা। দলের নেতারা গরুকে গোমাতা বলে ডাকেন। একই সময়ে দেশীয় প্রতিকারের আকারে অনেক রোগের জন্য গোমূত্র খাওয়ার একটি প্রথারও প্রচার করেন বিজেপি নেতারা। মধ্যপ্রদেশের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যে গো মন্ত্রক পর্যন্ত রয়েছে। বেশিরভাগ বিরোধী দল এই জন্য বিজেপি এবং তার নেতাদের গোঁড়া এবং ধর্মান্ধ বলে অভিহিত করে। মহুয়ার সর্বশেষ আক্রমণও এই ধারাবাহিকতারই সূত্রে গাঁথা।

এদিকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত মহুয়া মৈত্র। বর্তমানে গোয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ করছেন তিনি। এর আগে টুইটে মহুয়া মৈত্র গোয়া থেকে বিজেপিকে উৎখাত করতে যেকোনও কিছু করার বার্তা দিয়েছিলেন। এর মাঝে গোয়ায় তৃণমূল-কংগ্রেস জোট নিয়ে জলঘোলা হলেও সংসদে বিজেপি বিরোধিতায় সুর বাঁধতে পারে দুই দলই। প্রসঙ্গত, এর আগে মমতার নেতৃত্বে সংসদীয় দলের বৈঠকের পর লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে সংসদে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিজেপি বিরোধিতার সুর চড়াবে তৃণমূলও। এই আবহে মোদী সরকারকে তোপ দেগে কংগ্রেসে পথে হাঁটারই ইঙ্গিত দিলেন মহুয়া। এর আগে গতকাল মোদী সরকারকে তোপ দেগেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়ও। নেতাজি ইস্যুতে সুর চড়ান দমদমের সাংসদ। আর রাজ্যসভায় জহর সরকারও মোদী সরকারকে তোপ দেগেছেন। এর আগে শীতকালীন অধিবেশনে যদিও কংগ্রেসের থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছিল ঘাসফুল শিবির।

এর আগে রাহুল গান্ধী সহ বিরোধীরা বিজেপি সরকারকে বিভিন্ন ইস্যুতে তোপ দেগেছেন। রাজ্যসভাতেও মল্লিকার্জুন খাড়গে সহ বিরোধী সাংসদরা মোদী সরকারকে পরপর তোপ দেগেছেন একাধিক ইস্যুতে। গতকাল চিন, পেগাসাস সহ একাধিক ইস্যুতে রাহুল গান্ধী পরপর মোদী সরকারকে তোপ দেগেছেন। রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেন, চিন ও পাকিস্তানের বন্ধুত্ব আরও মজবুত করেছে বর্তমান মোদী সরকারের বিদেশ নীতি। রাহুল মোদী সরকারকে আরও কটাক্ষ করে বলেছিলেন যে প্রজাতন্ত্র দিবসে দেশে কোনও বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানকে আমন্ত্রণ জানাতে পারেনি। পাশাপাশি পেগাসাস, বেকারত্বের মতো বিষয় নিয়েও সুর চড়িয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। মনে করা হচ্ছে শীতকালীন অধিবেশনের দূরত্ব মিটিয়ে এই সব ইস্যুতে সংসদে একজোট হবে বিরোধীরা। বিজেপি সরকারকে কোণঠাসা করতে কংগ্রেসের থেকে কোনও অংশে পিছিয়ে থাকতে চাইবে না তৃণমূলও। আর তারই ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন মহুয়া।

আরও দেখুন :

* বাঙালিয়ানার চর্চায় অতিথি শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়, সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়, তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার 

*বাঙালিয়ানার চর্চায় বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়, তন্ময় বোস, অজয় চক্রবর্তী