TV9 বাংলা ডিজিটাল: ১৯৯২ সালে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে শুরু হয়েছিল মালাবার মহড়া (Malabar exercise)। সমুদ্র সুরক্ষার স্বার্থে যেখানে প্রদর্শিত হত দুই দেশের নৌ বহর। এবারের মালাবার মহড়া ২৪ তম সংস্করণ। ১৭ নভেম্বর থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে চলবে এই মহড়া। ভারত ও আমেরিকা ছাড়াও এই বছর মহাড়ায় অংশগ্রহণ করছে কোয়াডের বাকি দুই সদস্য দেশ জাপান ও অস্ট্রেলিয়া। এক দিকে লাদাখ উত্তেজনা, অন্য দিকে চিনের উপর আমেরিকার ক্রমাগত চাপের আবহে এই মহড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।
এই মহড়ার মাধ্যমে চিনকে কড়া বার্তা দিচ্ছে কোয়াড। এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের আগ্রাসী মনোভাব অব্যাহত। সেই প্রেক্ষিতে কোয়াডে অস্ট্রেলিয়ার উপস্থিতি বাড়তি চাপের রাখবে বেজিংকে। আমেরিকা বরাবরই নিরাপদ ভারত- প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পক্ষে সওয়াল করে এসেছে। তাই নৌ শক্তির মাধ্যমে চিনকে চাপে রাখার ফন্দি হয়ে উঠেছে মালবার মহড়া। কয়েক দিন আগেই ভারতের প্রতিরক্ষা প্রধান (চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ) বিপিন রাওয়াত জানিয়ে ছিলেন, ভারত মহাসাগর তো বটেই তৎসহ কোনও সাগরেই একটি দেশকে আগ্রাসী হতে দেবে না কোয়াড। যদিও চিনের বক্তব্য, তাদের নৌ মহড়া নিয়ে কোনও আপত্তিই নেই।
এবারের মালাবার মহড়ায় মূল আকর্ষণ ভারতের যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী আইএনএস ‘বিক্রমাদিত্য’। অন্য দিকে আমেরিকা থেকে আসছে পরমাণু ক্ষমতা যুক্ত নিমিৎজ। জাপান থেকে আসছে শক্তিশালী হেলিকপ্টার বাহক ইজমুয়ো। ভারতের মহড়ার নেতৃত্বে রয়েছেন অ্যাডমিরাল কৃষ্ণ স্বামীনাথন। এছাড়াও ‘বিক্রমাদিত্যের’ সঙ্গে অংশগ্রহণ করবে আইএনএস তলোয়ার, আইএনএস চেন্নাই ও আইএনএস কলকাতা রণতরী-সহ একাধিক জেট ও হেলিকপ্টার। এমনকি রণতরী থেকে উড়বে মিগ-২৯, এফ-১৮ এর মতো শক্তিশালী বিমানও।
আরও পড়ুন: ‘কে পিকে? ওর থেকে রাজনীতি শিখতে হবে’, বিদ্রোহ শুরু তৃণমূলের অন্দরে
২০০৭ সালে মালাবার মহাড়ায় অংশগ্রহণ করেছিল চার দেশ। ২০১৫ সালে কোয়াডের পাকাপাকি সদস্য হয় জাপান। ১৩ বছর পর মালাবার ওয়াপসি হল অস্ট্রেলিয়ার। সব মিলিয়ে বঙ্গোপসাগরে নৌ মহড়ায় ঘুম উড়েছে চিনের। যদিও প্রকাশ্যে তা মানতে নারাজ বেজিং। এমনই বক্তব্য বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের।