নয়া দিল্লি: জমছে অভিযেগের পাহাড়। ফের উঠছে #মিটু ঝড়। একের পর এক অভিনেত্রী মুখ খুলছেন। সিনেমার শুটিংয়ে বা সেটে কখনও অভিনেতাদের হাতে, আবার কখনও পরিচালক বা প্রযোজকের হাতে কীভাবে যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছেন, তা প্রকাশ্যে তুলে ধরছেন অভিনেত্রীরা। রঙিন দুনিয়ার এই পর্দাফাঁস হতেই তোলপাড় মালয়লম ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। এখনও পর্যন্ত ১৭ জন অভিনেত্রী অভিযোগ জানিয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকে আবার অভিযোগ জানানোর পর হুমকি পাচ্ছেন।
মালয়লম ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি তোলপাড় #মিটু কাণ্ডে। হেমা কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরই একের পর এক অভিযোগ উঠতে শুরু করে। এরপরই ভেঙে দেওয়া হয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অব মালয়লম মুভি আর্টিস্টস বা আম্মা। এখনও পর্যন্ত ১৭টি যৌন হেনস্থার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। একাধিক অভিনেতা ও পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেই জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রও এই নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন।
বিগত এক সপ্তাহ ধরেই একাধিক মালয়লম অভিনেত্রী যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন। তাঁদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ভয়ঙ্কর ঘটনা তুলে ধরেছেন। মিনু মুনীর নামক এক অভিনেত্রী এম মুকেশ, জয়সূর্য, মানিয়াপিল্লা রাজু, ইদাভেলা বাবু নামক অভিনেতাদের বিরুদ্ধে সিনেমার শুটিং চলাকালীন যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেন।
তিনি অভিযোগ করেন যে একটি সিনেমার শুটিং চলাকালীন তিনি শৌচালয় থেকে বের হতেই অভিনেতা জয়সূর্য তাঁকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরেন এবং জোর করে চুমু খান। ভয়ে অভিনেত্রী পালিয়ে যান। এরপর অভিনেতা প্রস্তাব দিয়েছিলেন যে তাঁর সঙ্গে থাকলে, আরও অনেক সিনেমায় অভিনয় করার সুযোগ পাবেন।
পাশাপাশি আম্মা সেক্রেটারি ইদাভেলা বাবুর বিরুদ্ধেও ফ্ল্যাটে ডেকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেন। অভিনেতা মুকেশ, যিনি বর্তমানে সিপিএমের বিধায়কও, তাঁর বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনেন। অভিনেত্রীর দাবি, তিনি অভিনেতার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে না চাওয়ায়, কমিটির সদস্যপদ দেওয়া হয়নি তাঁকে।
এরপরই অভিনেত্রী সনিয়া মালহারও অভিযোগ জানান যে ২০১৩ সালে সিনেমার সেটে এক অভিনেতা তাঁকে যৌন হেনস্থা করেছিলেন। একের পর এক অভিনেত্রীর অভিযোগ পেতেই কেরল সরকারের তরফে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম গঠন করেছে তদন্তের জন্য।
এদিকে, অভিনেত্রী মিনু মুনীরের দাবি, যৌন হেনস্থা নিয়ে মুখ খোলার পরই তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই হুমকির স্ক্রিনশটও পোস্ট করেন।
অন্যদিকে, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাদের মধ্যে অভিনেতা মুকেশ জানান, সবরকমের তদন্তে সহযোগিতা করতে রাজি তিনি। বরং এক গোষ্ঠী টাকা আদায়ের জন্য ব্ল্যাকমেইল করছে বলেই দাবি করেন তিনি।
গতকালই মালয়লম ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির তরফে ঘটনার দায় নিয়ে কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)