Mallikarjun Kharge: দুই পদেই থাকবেন খাড়্গে? তাহলে কি ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ ঘোষণাই সার কংগ্রেসের?

Mallikarjun Kharge: বড় কোনও পরিবর্তন না ঘটলে, কংগ্রেসের সভাপতি হওয়ার পরও, রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতার পদে থেকে যাবেন মল্লিকার্জুন খাড়্গে।

Mallikarjun Kharge: দুই পদেই থাকবেন খাড়্গে? তাহলে কি 'এক ব্যক্তি এক পদ' ঘোষণাই সার কংগ্রেসের?
মল্লিকার্জুন খাড়্গে (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 02, 2022 | 2:23 PM

নয়া দিল্লি: ফের মুখ পুড়তে চলেছে কংগ্রেসের। ঘটা করে ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতি (One man, one post policy of Congress) গ্রহণের ঘোষণা করেও, সম্ভবত পিছিয়ে আসতে হচ্ছে শতাব্দী প্রাচীন দলকে। বড় কোনও পরিবর্তন না ঘটলে, কংগ্রেসের সভাপতি হওয়ার পরও, রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতার পদে থেকে যাবেন মল্লিকার্জুন খাড়্গে। অন্তত, সংসদের আসন্ন শীতকালীন অধিবেশন পর্যন্ত। এমনটাই জানা গিয়েছে দলীয় সূত্রে। গত সেপ্টেম্বরে এই বিষয়ে অশোক গেহলটকে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। খাড়্গে যদি শেষ পর্যন্ত দুই পদেই থাকেন, সেই ক্ষেত্রে রাহুল গান্ধীর তখনকার মন্তব্য মূল্যহীন বলে প্রমাণিত হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন পেশ করার আগেই রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতার পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন খাড়্গে। তবে, এখনও পর্যন্ত তাঁর উত্তরসূরির নাম ঘোষণা করতে পারেনি কংগ্রেস। এদিকে, আগামী ৭ ডিসেম্বর থেকেই শুরু হবে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। তার আগে সময়ও নেই। তাই আপাতত দলীয় সভাপতিকেই ওই পদে রেখে দেবে কংগ্রেস, এমনটাই শোনা যাচ্ছে।

সূত্রের খবর, শনিবারই শীতকালীন অধিবেশন নিয়ে আলোচনার জন্য কংগ্রেসের সংসদীয় কমিটির ‘কৌশল নির্ধারণ গোষ্ঠী’র একটি বৈঠক ডেকেছেন সনিয়া গান্ধী। রাজ্যসভা থেকে ডাক পেয়েছেন শুধুমাত্র মল্লিকার্জুন খাড়্গে, জয়রাম রমেশ এবং কেসি বেনুগোপাল। খাড়্গের বদলে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা হওয়ার দৌড়ে নাম শোনা যাচ্ছিল দিগ্বিজয় সিং এবং পি চিদম্বরমের। তাঁদের কাউকেই ডাকেননি সনিয়া। কাজেই, এখনই তাঁদের শিকে ছিঁড়বে না বলেই মনে করা হচ্ছে।

তবে, শীতকালীন অধিবেশনের পর কংগ্রেস তাদের পুরো সংসদীয় দল ঢেলে সাজাতে পারে বলে সূত্রের দাবি। আসলে, শুধু মল্লিকার্জুন খাড়্গে একাই নন, কংগ্রেসের সংসদীয় দলে এমন আরও দুই নেতা রয়েছেন, যাঁরা একসঙ্গে দুটি পদে আসীন। অধীররঞ্জন চৌধুরী লোকসভার বিরোধী দলনেতা হওয়ার পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি পদে আছেন। আর জয়রাম রমেশ লোকসভা ও রাজ্যসভায় দলের চিফ হুইপের পদে থাকার পাশাপাশি দলের যোগাযোগ বিষয়ক কমিটিরও প্রধান।

উল্লেখ্য গত ফেব্রুয়ারি মাসে রাজস্থানের উদয়পুরে ‘চিন্তন শিবিরের’ আয়োজন করেছিল কংগ্রেস। উদয়পুর সংকল্পেই বলা হয়েছিল, দলের কোনও নেতা শুধুমাত্র একটিই পদে থাকতে পারবেন। বিষয়টি চর্চায় উঠে এসেছিল গত সেপ্টেম্বর মাসে। কংগ্রেসের জাতীয় সভাপতি নির্বাচনে গান্ধী পরিবারের প্রথম পছন্দ ছিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। প্রকাশ্যেই তিনি জানিয়েছিলেন, দলীয় সভাপতি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পাশাপাশি তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদেও থাকতে চান। এরপরই রাহুল গান্ধী সাফ জানিয়েছিলেন, উদয়পুর সংকল্প মেনে চলতেই হবে। সভাপতি নির্বাচনে অংশ নিলে, মুখ্যমন্ত্রীর ছাড়তেই হবে।