নয়া দিল্লি: নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না ‘ইন্ডিয়া’র শরিকদের অনেকেই। কিন্তু মমতা যাচ্ছেন। নীতি আয়োগের বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর একটাই স্ট্যান্ড, ‘কোনও মতেই বঙ্গভঙ্গ হতে দেব না। সব বিরোধীর দাবি নিয়ে সোচ্চার হব।’ সেকথা কলকাতাতে দাঁড়িয়েই স্পষ্ট করে দিয়ে গিয়েছেন তিনি। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ আগেই তুলেছিল রাজ্য। সে নিয়ে নীতি আয়োগের বৈঠকে সোচ্চার হওয়ার বিষয়টা প্রথম থেকেই স্পষ্ট ছিল। তার সঙ্গে সংযোজিত হয়েছে ‘বাংলা ভাগের’ চক্রান্তের অভিযোগ।
প্রসঙ্গত, শনিবার প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নীতি আয়োগের বৈঠক হচ্ছে। কিন্তু সেই বৈঠক বয়কট করেছেন ইন্ডিয়া জোটের শরিক পঞ্জাব, তামিলনাড়ু, তেলঙ্গানা, কর্নাটক, কেরল, হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রীরা। কিন্তু মমতা যাচ্ছেন। প্রথম থেকে নীতি আয়োগের বৈঠকে মমতার সফরসূচি নিয়ে একটা জলঘোলা তৈরি হয়েছিল। শেষমেশ তাঁর সফর নির্ধারিত হয়। মমতা বলেন, “নীতি আয়োগের বৈঠক নিয়ে অন্যরকম ভাবতাম, যদি আগে থেকে জানানো হত বাকিরা বয়কট করছে। এনডিএ জোটের সঙ্গে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই, কারণ সেটা ছিল নীতির প্রশ্ন। ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেই আছি।” মমতা স্পষ্ট করেছেন, “আমি যাচ্ছি। আমাকে বলতে দিলে বলব, না হলে প্রতিবাদ করব।”
দিল্লি যাওয়ার আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বাজেটে বাংলাকে বঞ্চনার অভিযোগে সরব হন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পলিটিক্যাল বাজেট। বন্ধুদের সাহায্য করুক। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে অন্য রাজ্যকে কেন বঞ্চনা করা হবে? বাংলাকে বঞ্চনা করা হয়েছে । বৈঠকে উপস্থিত থেকে সকল বিরোধীদের হয়ে সওয়াল করব।”
মমতা আরও বলেন, “এক দিকে ইকনমিক ব্লকেড, পলিটিক্যাল ব্লকেড।” বঙ্গভঙ্গ নিয়ে বলেন, “দেশকে টুকরো টুকরো করে দেওয়ার যে পরিকল্পনা, তার চরম নিন্দা করছি। মন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে বাংলা ভাগের কথা বলছেন! শুধু তা-ই নয়, বিভিন্ন সূত্র থেকে জানতে পারছি, ওদের দলের অনেক নেতারাও বিহার-ঝাড়খণ্ড-অসম-বাংলাকে ভাগ করা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের বিবৃতি দিচ্ছেন।” আর এই দুই বিষয়ে প্রতিবাদ করতেই তিনি নীতি আয়োগের বৈঠকে যাচ্ছেন বলে জানান। মমতার সাফ কথা, “বঙ্গভঙ্গ করতে দেব না। কোনও রাজ্য চাইলে সেটা আলাদা ব্যাপার। কিন্তু আমি বাংলাকে ভাগ করতে দেব না। নির্বাচনে হেরে গেলাম, তাই বঙ্গভঙ্গ করতে হবে, এটা হতে দেব না। ভারতকে টুকরো টুকরো হতে দেব না।” শনিবার নীতি আয়োগের বৈঠকে এই বিষয়ে সোচ্চার হবেন মুখ্যমন্ত্রী।