গোয়া: উত্তর পূর্বের পাশাপাশি দেশের পশ্চিম প্রান্তে সংগঠন তৈরিতে মরিয়া তৃণমূল। নতুন ভোরের আশ্বাস যে কেবলমাত্র স্লোগানে আটকে নেই, সেকথা স্পষ্ট তৃণমূল সুপ্রিমোর কন্ঠে। তা স্পষ্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচিতেও। শুক্রবার একের পর এক অনুষ্ঠান ঘিরে দিনভর ব্যস্ত থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুক্রবারের সূচি
সকাল ১০
গোয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের বৈঠক। ডোনাপলার ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে হবে বৈঠক।
বেলা ১২ টা
পানাজির বেটিমে মত্স্যজীবীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দুপুর ১টা
ডোনাপোলা ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে সাংবাদিক বৈঠক করবেন তিনি।
দুপুর ৩.৩০ মিনিটে
পোন্ডায় মুঙ্গয়েশি মন্দির দর্শন করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
বিকাল ৪ টেয়
গোয়ায় শ্রী মহালসা নারায়ণী মন্দির দর্শন
বিকাল ৪.৩০ মিনিট
পোন্ডার তপভূমি মন্দির দর্শন করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
সন্ধ্যা ৫.৪৫ মিনিট
নাগরিক সমাজের মুখোমুখি হবেন তিনি। ইন্টারন্যাশনার সেন্টারেই হবে এই কর্মসূচি।
পশ্চিমের বিলাসী সমুদ্রতট, এটাই এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডেস্টিনেশন সেন্টার। তিন দিনের তাঁর সফর শুরু। কিন্তু গোড়াতেই তাঁকে দেখতে হয় কালো পতাকা। আগামী ফেব্রুয়ারিতে গোয়া বিধানসভা নির্বাচন। বিজেপি আর কংগ্রেসের লড়াইয়ের মঞ্চ তৈরি। সেই মঞ্চে হঠাত্ আর্বিভাব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
গোয়া সফরের শুরুতেই রাজনৈতিকভাবেও ধাক্কা খেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন না গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টির নেতা বিজয় সরদেশাই। আজ গোয়া ফরওয়ার্জ পার্টির সূত্রে এমনটাই জানানো হয়েছে। শোনা যাচ্ছিল, গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টির নেতা বিজয় সরদেশাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেন তৃণমূল নেত্রী। বিজয় সরদেশাইয়ের দল গোয়ায় বিজেপির জোটসঙ্গী। তাই গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টির সঙ্গে মমতার এই বৈঠক যথেষ্টই গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু এখন গোয়ার রাজনীতির আকাশে যেমন পূর্বাভাস, তাতে তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গে দেখা করছেন না বিজয় সরদেশাই।
তৃণমূলের পোস্টারে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে নেত্রী পৌঁছনোর আগেই দেখা যায়, পোস্টারে কেউ বা কারা কালি লাগিয়ে দিয়েছে। মমতার ছবি দেওয়া পোস্টার রাস্তায় পড়েছিল। ধুলোয় লুটোচ্ছিল। মমতার মুখ ছিঁড়ে ফেলা হয় পোস্টার থেকে।
তৃণমূলের গোয়া নেতৃত্ব ঘটনার জন্য সরাসরি অভিযোগ তুলছে বিজেপির দিকে। তাঁদের বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভয় পেয়েছে বিজেপি। তাই এই ধরনের কাণ্ড ঘটাচ্ছে। গেরুয়া শিবির অবশ্য তৃণমূলের এই সব অভিযোগকে একেবারেই গুরুত্ব দিতে নারাজ। তাঁদের পাল্টা বক্তব্য, তৃণমূলের কোন ইস্যু নেই। তারা ইস্যু তৈরি করার জন্যই এসব বলছে।
এদিকে নেত্রীকে স্বাগত জানাতে বিগত কয়েকদিন ধরেই সাজো সাজো রব গোয়া তৃণমূলে। একেবারে একটি নতুন দল হিসাবে গোয়ায় আত্মপ্রকাশ করতে চায় তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন গোয়ার রাজনীতিতে ফ্যাক্টর, অন্তত তেমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তবে এই ফ্যাক্টর ভোট বাক্সে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন: আকাশের মুখ ভার, তবে কি ফের বৃষ্টি কলকাতা? তারপরই কী শীত? কী বলছেন আবহাওয়াবিদররা?