নয়া দিল্লি : বিভিন্ন ইস্যুতে বারবার কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত প্রকাশ্যে এসেছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকেও মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই আবহেই মুখোমুখি হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মমতা। বিচারপতিদের সম্মেলন উপলক্ষ্যে দিল্লি গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যাওয়ার আগেই তিনি জানিয়েছিলেন, মোদীর সঙ্গে তাঁর বৈঠকের কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে সূত্রের খবর, সম্মেলন চলাকালীন মুখোমুখি হয়েছিলেন মোদী ও মমতা। আর ওইটুকু সময়ের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসাও করেছেন মমতা। সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রশংসা করেছেন তিনি।
আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও বৈঠক যে হচ্ছে না, সে কথা আগেই জানিয়েছিলেন মমতা। তবে সম্মেলনে তাঁদের দেখা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। জানা যাচ্ছে, চলার পথে কয়েক মুহূর্ত মুখোমুখি হয়েছিলেন মোদী ও মমতা। কথাও হয়ে তাঁদের মধ্যে।
এ দিকে, শনিবারই দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরে আসার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু মমতার সেই পরিকল্পনা বাতিল হয়ে গিয়েছে। এ দিন কলকাতায় ফিরছেন না তিনি। সৌজন্য বিনিময় করেছেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, এ দিনের সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন, পশ্চিমবঙ্গে ৭২ জন বিচারকের কাজ করার জায়গা থাকলেও মাত্র ৩৯ জনকে নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, ৬ মাস আগে ১৩ জনের তালিকা রাজ্যের তরফে পাঠানো হয়েছিল, মাত্র একজনের অনুমতি পাওয়া গিয়েছে।
দিল্লি সফর নিয়ে জল্পনা ছিল প্রথম থেকেই। মোদী-মমতা একান্ত বৈঠক হবে কি না, সেই জল্পনা উঠে আসছিল। তবে নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, মাত্র দু’দিনের সফর তাঁর। তাই এবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত বৈঠক হচ্ছে না। শুক্রবার রাতে দিল্লি পৌঁছন মমতা। আর শনিবার সকালেই ছিল বিচারপতিদের সম্মেলন। তবে শনিবার তিনি কেন ফিরছেন না, সেই কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।
উল্লেখ্য, দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী, “আমাদের দেশে বিচারব্যবস্থা যেখানে সংবিধানের অভিভাবকের ভূমিকা পালন করে, সেখানে আইনসভা নাগরিকদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিনিধিত্ব করে। আমার বিশ্বাস সংবিধানের এই দুই বিভাগের সম্মিলিত ভারসাম্য আগামিদিনে দেশের বিচার ব্যবস্থাকে আরও সময়মাফিক ও কার্যকরী করে তুলবে।” দিল্লিতে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ও বিভিন্ন রাজ্যের হাইকোর্টের আইনজীবীরা ছাড়াও একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও উপস্থিত ছিলেন।