গোয়াতে তৃণমূল পা রেখেছে এখনও এক বছরও হয়নি। তা সত্ত্বেও গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে এমজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল তৃণমূল। ১৪ ফেব্রুয়ারি ৪০ আসনের গোয়াতে নির্বাচন হওয়ার তৃণমূল জানিয়েছিল গোয়াতে তাদের ফল ভালই হবে। সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও দলীয় সভা থেকে জানিয়েছিলেন, ‘জেতা বা হারা ফ্যাক্টর নয়, গোয়াতে তিন মাসের মধ্য তৃণমূল ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছে।’ ভোটের ফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে এবার সেই গোয়াতেই তৃণমূলের খাতা খোলার সম্ভাবনা প্রবল। গোয়ার ৪ টি বিধানসভা আসনে তৃণমূল কংগ্রেস জোট প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছেন।
২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয়ের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন এবার তৃণমূলের ‘লক্ষ্য দিল্লি’। তৃতীয় বার বাংলায় ক্ষমতায় আসার পর সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক করে বাংলার বাইরে সংগঠন বিস্তারের দায়িত্ব দিয়েছিল। সেই লক্ষ্যে প্রথমেই ত্রিপুরাতে পা রাখার পাশাপাশি গোয়াতেও দলকে বিস্তারের চেষ্টা শুরু করেছিলেন অভিষেক। কংগ্রেসের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফ্যালেরিওকে দলে টেনে চমক দেন মমতা-অভিষেক। সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ফ্যালেরিও সর্বভারতীয় তৃণমূলের সহ-সভাপতি করার পাশাপাশি রাজ্যসভার সাংসদও করিয়েছিল তৃণমূল।
গোয়াতে দলের ভিত মজবুত করতে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার গোয়াতে গিয়ে সভা করেছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও বারবার গোয়াতে গিয়ে সাংগঠনিক কাজ পরিচালনা করেছেন। ফলপ্রকাশের প্রাথমিক প্রবণতা সামনে আসার পর এটা স্পষ্ট ৪০ আসনের গোয়াতে অনেকেই তৃণমূলের ওপর আস্থা রেখেছেন। এই প্রতিবেদনটি লেখার সময় গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল জোট প্রার্থীরা ৪ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। পূর্ণাঙ্গ ফল প্রকাশের পর তৃণমূলের আসন সংখ্যা কত হয়, সেদিকে নজর থাকবে সকলের।