লখনউ: রাজ্যে অক্সিজেন ও শয্যা সঙ্কট চরম আকার ধারণ করেছে। হাসপাতালের বাইরেই শুয়ে রাত কাটাচ্ছেন করোনা রোগীরা। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের উদ্দেশ্যে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন এক যুবক। নিজেই অক্সিজেন সিলিন্ডার জোগাড় করে ভর্তি হতে না পারা রোগীদের দিচ্ছিলেন। শনিবার করোনাবিধি ভাঙার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ভিকি অগ্রহারি নামক ওই যুবক গত ২৯ এপ্রিল জৌনপুর হাসপাতালের বাইরে অপেক্ষারত করোনা রোগীদের শারীরিক অবস্থা ও অক্সিজেনের অভাব দেখে নিজেই সাহায্যের সিদ্ধান্ত নেন। একদিনেই হাসপাতালের বাইরে বসে থাকা ২৫ থেকে ৩০ জন করোনা রোগীর কাছে অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছে দেন।
কিন্তু শনিবার জৌনপুর জেলা পুলিশ তাঁকে কোভিডবিধি বঙ্গের অভিযোগে গ্রেফতার করে। পুলিশের দাবি, তিনি কোভিড-১৯ সেফটি প্রোটোকল ভেঙেছেন। সেই কারণেই মহামারী আইনের ১৮৮ ও ২৬৯ ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।
এই বিষয়ে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। তাঁর দাবি, করোনা পরীক্ষা না করিয়েই এবং স্যানিটাইজেশন ও স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই তিনি সকলকে অক্সিজেন দিচ্ছিলেন। এতে সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা আরও বেশি।
এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি ভাইরাল হতেই পুলিশ ও উত্তর প্রদেশ সরকারের সমালোচনায় সরব হয় নেটাগরিকরা। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন ও বেডের তুলনা করে শ্মশানঘাটের বাস্তব চিত্রটি তুলে ধরেন অনেকে।
গত শনিবার উত্তর প্রদেশে করোনা সংক্রমিত হন ১২ লক্ষ ৮২ হাজার ৫০৪ জন, মৃত্যু হয়েছে ৩০৩ জনের।
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত হয়েও রক্ষে নেই, হাসপাতালেই অপর করোনা রোগীর লালসার শিকার তরুণী