গুরুগ্রাম: বাড়িতে বসেই কাজ। একটি বহুজাতিক সংস্থার মানব সম্পদ ম্যানেজার পদে কাজ করেন। মাস গেলে বেতনও ভাল টাকার। তবে অফিসের কাজ শেষে অন্য এক ধরনের ‘মুনলাইটিং’ও করেন গুরুগ্রামের অভিষেক ওঝা। তবে এর জন্য পুলিশের জালেও জড়াতে হল তাঁকে। কাজ শেষে বাইক-বন্দুক নিয়ে বেরিয়ে পড়েন এক এমএনসি সংস্থার এইচআর ম্যানেজার। তারপর মহিলাদের বন্দুকের ভয় দেখিয়ে গলার সোনার চেইন ছিনতাই করেন। নিজের বাসনা মেটাতেই এই কাজ করতে বলেন পুলিশি জেরায় স্বীকার করেছেন অভিষেক।
বেশ কিছুদিন ধরেই ছিনতাইয়ের অভিযোগ আসছিল আগ্রা পুলিশের কাছে। তবে কোনওভাবেই অপরাধীর নাগাল পাচ্ছিলেন না তাঁরা। শেষ পর্যন্ত পুলিশের জালে ধরা দেয় সেই মাছ। আর পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে অবাক করা সব তথ্য। অভিযুক্ত ব্যক্তি অভিষেক ওঝা একটি নামি সংস্থায় কাজ করেন। মাস গেলে বেতন মেলে ৪৫ হাজার টাকা। তবে তা দিয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করা যায় না। তাই নিজের অহংকার বজায় রাখতে এবং বিলাসবহুল জীবনে যাতে অর্থ কম না পড়ে তাই অফিসের কাজের পাশাপাশি এই অপরাধমূলক কাজেও নাম লিখিয়েছিলেন তিনি।
ওঝা পুলিশের কাছে জানিয়েছেন, তিনি বাড়ি থেকে কাজ করেন। তাই কাজের শেষে বাইকে করে ঘুরে বেড়ানোর অনেক সময় থাকত তাঁর কাছে। আর সেইভাবেই মহিলাদের থেকে সোনার চেইন কাড়ার মতো কাজে লিপ্ত হন। তারপর সেইসব সোনা সোনু ভার্মা নামের এক স্যাকড়ার কাছে বেচে দিতেন। অভিষেক জানিয়েছেন, মহিলাদের ভয় দেখানোর জন্য একটি বন্দুকও ব্যবহার করতেন তিনি।
এদিকে পুলিশকে জানিয়েছেন, একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারের সদস্য তিনি। তাঁর কোনও অপরাধমূলক কাজের রেকর্ডও নেই। সেই কারণেই পুলিশ প্রথমে এহেন অভিযোগের কোনও মীমাংসা করতে পারছিল না। জানা গিয়েছে, পুলিশ একটি বাইক, কিছু সোনার চেইন ও গুলি উদ্ধার করেছে অভিষেকের থেকে। নিউ আগ্রা পুলিশ স্টেশনে তাঁর নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। প্রসঙ্গত, বিলাসবহুল জীবনযাপনের বাসনা মানুষকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে তার একটি জ্বলন্ত উদাহরণ এই ঘটনা। টাকার লোভে একটি বহুজাতিক জাতিক সংস্থার কর্মী এখন পুলিশের হেফাজতে।