Maharashtra News: কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, রয়েছে সুইসাইড নোট, তদন্তে নেমে বাবার ‘কীর্তি’ ফাঁস পুলিশের

TV9 Bangla Digital | Edited By: অঙ্কিতা পাল

Nov 13, 2022 | 8:09 PM

Maharashtra News: মহারাষ্ট্রের নাগপুরে কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। তদন্তে নেমে পাঁচটি সুইসাইড নোট পুলিশের হাতে।

Maharashtra News: কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, রয়েছে সুইসাইড নোট, তদন্তে নেমে বাবার কীর্তি ফাঁস পুলিশের
প্রতীকী ছবি

Follow Us

নাগপুর: রক্ষকই যখন ভক্ষক! সাধারণত মা-বাবার কাছে ছেলে-মেয়েরা নিরাপদ অনুভব করে থাকে। কিন্তু যদি উল্টোটা হয়? পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যেতে বেশিক্ষণ লাগে না। মহারাষ্ট্রের নাগপুরে মাটি সরেনি ঠিকই। তবে কিশোরীর পায়ের তলা থেকে টুল সরে গিয়েছিল। তাও আবার বাবার ইচ্ছাকৃত লাথিতে। পরিণতি, গলায় ফাঁস লেগে মৃত্যু। বাবার হাতেই মেয়ের খুনের অভিযোগে আপাতত পুলিশি হেফাজতে মৃত কিশোরীর বাবা। নাগপুরের কালামনা এলাকার ঘটনা।

গত ৬ নভেম্বর কিশোরীর বাড়ি থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর উঠে এসেছে পুলিশের হাতে। ওই ব্যক্তি শুধুমাত্র নিজের মেয়েকে খুনই করেননি নিজেকে দায়মুক্ত করার সব বন্দোবস্তও করেছিলেন। কিশোরীর মৃত্য়ুর আগে তাকে দিয়ে সুইসাইড নোট লিখিয়েছিল বাবা। একটি, দুটি নয় পাঁচ পাঁচটি সুইসাইড নোট লিখিয়েছিল বাবা। সেই সুইসাইড নোটে ছিল পরিবারের বাকি সদস্যের নাম। সেই সুইসাইড নোট মোতাবেক প্রথমে কিশোরীর সৎ মা, কাকা, কাকিমা ও দাদু-ঠাকুমার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার জন্য মামলা দায়ের হয়েছিল। তবে ঘটনার তদন্ত শুরু হতেই সামনে আসে আসল সত্য। কিশোরীর মৃত্যুর তদন্তের জন্য তার বাবার ফোন পরীক্ষা করা হয়। ওই ফোনেই কিশোরীর সুইসাইড করার মুহূর্তের ছবি পাওয়া যায়। সেই ছবি থেকেই সব রহস্য ফাঁস হয়ে যায়।

শনিবার এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘মোবাইল ফোনে আমরা কিশোরীর একটি ছবি দেখতে পাই। সেই ছবিটি আত্মহত্যা করার মুহূর্তের। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি তার মেয়েকে জানিয়েছিল সে তার আত্মীয়দের মজা দেখাতে চান। তাই সে মেয়েকে দড়ি দিয়ে ঝোলার ভান করতে বলেছিল। তারপর সেই ছবি তুলে নেয়।’ তবে এর আগেই পেশায় দিনমজুর ওই ব্যক্তি নিজের মেয়েকে দিয়ে পাঁচটি নোট লিখিয়ে নেয়। সেখানে তার আত্মীয়দের নাম উল্লেখ করা হয়। পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছে, নোট লেখার পরই বাবার নির্দেশ মেনে, টুলের উপর দাঁড়িয়ে নিজের গলায় ফাঁস লাগায় কিশোরী। সেই মুহূর্তের ছবি তুলে নেয় বাবা। তারপর মেয়ের দাঁড়িয়ে থাকা টুলে লাথি মারে বলে অভিযোগ রয়েছে। ১২ বছরের কিশোরী নিজের বাবার সামনেই ছটফট করতে করতে মারা যায়।

এই ঘটনার পরই কিশোরীর বাবা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। তারপর নিজেই পুলিশে ফোন করে। পুলিশকে সে জানায়, কিছু কাজের জন্য বাইরে গিয়েছিল সে। বাড়ি ফিরে তার মেয়ের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায়। প্রাথমিকভাবে পাঁচ আত্মীয়ের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। তবে তদন্তে নেমে পুলিশের সন্দেহ জাগে। এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন,’কিশোরীর বাবার ফোনে আত্মহত্যার ছবি দেখার পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করি। সে পরে পুলিশের কাছে স্বীকার করে, সে তার মেয়েকে খুন করেছে।’ কিশোরীর বাবাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে খুনের কারণের খোঁজে এখনও তদন্ত করছে পুলিশ।

Next Article