Dead body Carried on Bike:শববাহী গাড়ি দিতে নারাজ হাসপাতাল, বাইকে চাপিয়েই মেয়ের মৃতদেহ নিয়ে গেলেন বাবা

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

May 17, 2023 | 1:27 PM

Madhya Pradesh: ওই ব্যক্তি জানান, প্রায় ২০ কিলোমিটার রাস্তা তিনি মেয়ের মৃতদেহকে বাইকে বসিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। মাঝপথে শাদোলের জেলাশাসক বন্দনা বৈদ্যের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়।

Dead body Carried on Bike:শববাহী গাড়ি দিতে নারাজ হাসপাতাল, বাইকে চাপিয়েই মেয়ের মৃতদেহ নিয়ে গেলেন বাবা
এভাবেই মেয়ের মৃতদেহ নিয়ে যেতে বাধ্য হন ওই ব্যক্তি।

Follow Us

ভোপাল: দু’দিন আগেই কালিয়াগঞ্জের (Kaliagunj) এক দৃশ্য দেখে শিউরে উঠেছিল রাজ্য তথা গোটা দেশ। আর্থিক অভাবে অ্যাম্বুল্যান্সের টাকা দিতে না পেরে, ব্যাগে ভরে সদ্যোজাতের মৃতদেহ হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে এসেছিলেন অসহায় বাবা। অমানবিকতার এই দৃশ্য দেখে শিউরে উঠেছিল সকলে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবার প্রায় একই দৃশ্য ধরা পড়ল ক্যামেরায়। শববাহী গাড়ি (Hearse Car) না পাওয়ায় ১৩ বছরের মেয়ের মৃতদেহ বাইকে চাপিয়ে হাসপাতাল (Hospital) থেকে বাড়ি নিয়ে যেতে বাধ্য হলেন বাবা। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্য প্রদেশের (Madhya Pradesh) শাহোল জেলায়। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে বাইকে করে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার ভিডিয়ো।

জানা গিয়েছে, লক্ষ্ণণ সিং নামক এক ব্যক্তি তাঁর মেয়ের মৃতদেহ বাইকে করে নিয়ে যেতে বাধ্য হন। মধ্য় প্রদেশের শাদোল জেলা থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে কোটা গ্রামের বাসিন্দা লক্ষ্ণ সিংয়ের একমাত্র মেয়ে মাধুরী দীর্ঘদিন ধরে সেল অ্যানিমিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন। সোমবার রাতে ১৩ বছরের ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়। মেয়ের মৃতদেহ হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য সরকারি হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ তিনি। কিন্তু হাসপাতালের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, ১৫ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে শববাহী গাড়ির পরিষেবা দেওয়া হয়। তার থেকে বেশি দূরে গাড়ি পাঠানো সম্ভব নয়।

লক্ষ্ণণ সিং বলেন, “আমরা হাসপাতালে ফোন করে শববাহী গাড়ি পাঠানোর কথা বলেছিলাম, কিন্তুরা আমাদের জানানো হয় ১৫ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে গাড়ি পাঠানো সম্ভব নয়। আমাদের নিজেদেরই শববাহী গাড়ির ব্যবস্থা করে নিতে বলা হয়। কিন্তু টাকার অভাব থাকায় আমার মেয়ের মৃতদেহ বাইকে করে নিয়ে যেতে বাধ্য হই।”

ওই ব্যক্তি জানান, প্রায় ২০ কিলোমিটার রাস্তা তিনি মেয়ের মৃতদেহকে বাইকে বসিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। মাঝপথে শাদোলের জেলাশাসক বন্দনা বৈদ্যের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। বাইকে করে মৃতদেহ নিয়ে যেতে দেখেই জেলাশাসক সঙ্গে সঙ্গে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন।

জেলাশাসকের নির্দেশের পর একটি শববাহী গাড়ি আসে এবং কিশোরীর দেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় শেষকৃত্যের জন্য। জানা গিয়েছে শাদোলের জেলাশাসক ওই পরিবারকে কিশোরীর শেষকৃত্যের জন্য অর্থ সাহায্যও করেন। গোটা ঘটনার তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

Next Article