ভোপাল: অভিমানে আত্মহত্যা করেছে ১৬ বছরের মেয়ে, সেই শোকে যখন মূহ্যমান কিশোরীর বাবা, তখনই পুলিশ এসে জানায় তদন্তের স্বার্থে ময়নাতদন্ত করতে হবে দেহের। তার জন্য দেহ নিতে আসতে হবে সিংরাউলি জেলা হাসপাতালে। কিন্ত ৩৫ কিমি দূরে অবস্থিত হাসপাতালে মেয়ের দেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য যে গাড়ি ভাড়া করবেন, সেই টাকাও নেই পকেটে। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করেও কোনও সাহায্য না মেলায় বাধ্য হয়ে খাটিয়ায় মেয়ের দেহ নিয়েই ৩৫ কিমি রাস্তা হেঁটে গেলেন বাবা।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিয়োয় দেখা যায়, কয়েকজন গ্রামবাসীদের সহায়তায় মেয়ের মৃতদেহ চাদরে মুড়িয়ে, খাটিয়ার সঙ্গে বেঁধেই কাধে নিয়ে হাসপাতালের দিকে ররওনা দিচ্ছেন ওই কিশোরীর বাবা। তাঁকে সাহায্য করছেন গ্রামের কয়েকজন যুবক।
A man was forced to carry his daughter’s body on a cot for post-mortem for 35 km, walking for almost seven hours to reach the hospital in Singrauli @ndtv @ndtvindia pic.twitter.com/cNMYsWVzNh
— Anurag Dwary (@Anurag_Dwary) May 9, 2021
জানা গিয়েছে, গত ৫ মে আত্মহত্যা করে ওই কিশোরী। এরপরই পুলিশ মধ্য প্রদেশের গদাই গ্রামে পৌঁছয়। সেখানে মৃতদেহ পরীক্ষা করে সাংরাউলি জেলা হাসপাতালে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে আসার অনুরোধ জানায়।
আর্থিক অবস্থা ভাল না হওয়ায় গাড়ির ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়, তা আগেই জানায় কিশোরীর বাবা। প্রশাসনের কাছে এই বিষয়ে সাহায়্য চাইলেও কোনও জবাব না মেলায় ওই কিশোরীকরর বাবা ধীরাপতি সিং গোন্দ কিছু গ্রামবাসীদের সহায়তায় পায়ে হেঁটেই মেয়ের মৃতদেহ নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছন।
তিনি জানান, সকাল নটা নাগাদ গ্রাম থেকে দেহ নিয়ে বের হন তাঁরা। বিকেল চারটে নাগাদ হাসপাতালে পৌঁছন তাঁরা। এতটা পথ মৃতদেহ বহন করে এনে তাঁরা ক্লান্ত। যদিও পুলিশের তরফে জানানো হয়, মৃতদেহ আনার জন্য আলাদাভাবে কোনও অর্থ বরাদ্দ না থাকায় বাধ্য হয়েই ওই পরিবারকে নিজে থেকে ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: যোগ দিতে গিয়েছিলেন কৃষক আন্দোলনে, করোনায় মৃত বাঙালি তরুণীর বাবা আনলেন ধর্ষণের অভিযোগ