তিনসুকিয়া: বাড়ি এসে দেখেছিলেন মেয়ের ঘরের দরজা বন্ধ। সেই বন্ধ দরজার ভিতর রয়েছে মেয়ে ও তার প্রেমিক। তা দেখেই ক্ষেপে যান ওই ব্যক্তি। মেয়ের ১৬ বছরের প্রেমিকের হাত-পা বেঁধে রেখে দেন। ব্যাপক মারধর করেন। তার পর ২ কান কেটে দেন বলে অভিযোগ। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে অসমের তিনসুকিয়া জেলায়। মেয়ের প্রেমিকের কান কাটায় অভিযুক্ত ব্যক্তি নাম চিত্তরঞ্জন গগোই বলে জানিয়েছে পুলিশ। ১৬ বছরের ছেলেটির মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, অস্ত্রোপচারের পর ওই নাবালকের অবস্থা স্থিতিশীল।
তিনসুকিয়া জেলার বরদুমসা থানার অন্তর্গত রয়েছে শিমালগুড়ি গ্রাম। সেখানেই বাড়ি চিত্তরঞ্জন গগোইয়ের। তাঁর মেয়ে পড়ে দশম শ্রেণিতে। তাঁর মেয়ের সঙ্গেই একই ক্লাসে পড়েন ওই কিশোর। জানা গিয়েছে, ওই ২ জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। তা নিয়েই আপত্তি ছিল মেয়েটির বাবার। ঘটনা নিয়ে তিনসুকিয়ার পুলিশ সুপার দেবজিৎ দেউরি বলেছেন, “অভিযুক্ত ব্যক্তির নাবালিকা মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল নাবালিকার। ২ জনকে সোমবার এক সঙ্গে দেখতে পান অভিযুক্ত ব্যক্তি। তখনই ওই নাবালকের হাত-পা বেঁধে তার কান কেটে দেন অভিযুক্ত।”
এরপরই অভিযুক্ত ব্যক্তিই খবর দেন পুলিশকে। বলেন চুরি করতে এসে ধরা পড়েছে এক কিশোর। স্থানীয় বাসিন্দারা মেরেছে তাকে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। সেখানে গিয়ে ওই নাবালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তারপরই সামনে আসে গোটা ঘটনা। এর পর ওই নাবালকের মা অভিযোগ দায়ের করেন। তার পরই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। ওই নাবালককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ওই পুলিশ অফিসার। তার কানে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। এখন তার অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে।