আহমেদাবাদ: প্রেম করে বিয়ে। সুখেই চলছিল সংসার। নতুন অতিথি আনার পরিকল্পনাও চলছিল। কিন্তু সুখবর আর মিলছিল না। বছর খানেক চেষ্টা করার পরও সন্তান না আসায়, শেষে চিকিৎসকেরই দ্বারস্থ হন দম্পতি। ইউএসজি-র পর চিকিৎসক যা বললেন, তাতে স্বামীর পায়ের নীচ থেকে মাটি সরে গেল। সঙ্গে সঙ্গে ছুটলেন থানায়। স্ত্রীর বিরুদ্ধে আনলেন প্রতারণার অভিযোগ। কী এমন এসেছিল ইউএসজি রিপোর্টে যে স্ত্রীর বিরুদ্ধেই প্রতারণার অভিযোগ আনতে হল স্বামীকে?
৩৪ বছরের এক যুবক সম্প্রতি থানায় গিয়ে তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ আনেন। তিনি জানান, বিয়ের সময় থেকে তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। প্রতিনিয়ত মিথ্যা বলা হয়েছে। জীবন নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে তাঁর।
কেন এই প্রতারণার অভিযোগ? যুবক জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের মে মাসে এক যুবতীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরের মাসেই তাঁদের বিয়ে হয়। সেই সময় স্ত্রী জানিয়েছিল, তাঁর বয়স ৩২। বিয়ের পর তাঁরা সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করে। কিন্তু কিছুতেই স্ত্রীর গর্ভে সন্তান আসছিল না। শেষে তাঁরা স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যান। প্রথমে চিকিৎসক কিছু ওষুধ দেন। তাতে কোনও ফল মেলেনি। এরপরই ওই যুবতীর ফের সোনোগ্রাফি করানো হয়। আর তাতেই সত্যিটা সামনে চলে আসে।
চিকিৎসক জানান, ওই যুবতীর জরায়ুতে সমস্যা থাকায় গর্ভধারণ করা সম্ভব নয়। তাছাড়া মহিলার বয়স ৪০ থেকে ৪২ বছরের মধ্যে, ফলে স্বাভাবিক পদ্ধতিতে গর্ভধারণ করা কঠিন। এই শুনেই স্বামীর পায়ের নীচ থেকে মাটি সরে যায়। ওই রিপোর্টে বিশ্বাস না করে আরেক চিকিৎসকের কাছে যান যুবক। সেই চিকিৎসকও একই কথা বলেন।
এরপর বাড়ি ফিরে ওই যুবক স্ত্রীকে চেপে ধরেন। প্রথমে অস্বীকার করলেও, চাপ দেওয়ায় স্ত্রী সত্যিটা স্বীকার করে নেন। বলেন যে বয়স লুকিয়েই বিয়ে করেছিলেন যুবককে। এরপরই যুবক পুলিশে গিয়ে স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ আনেন। ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের আহমেদাবাদে।
ওই যুবক জানিয়েছেন, বিয়ের আগেও স্ত্রীর জন্ম সার্টিফিকেট দেখতে চেয়েছিলেন, কিন্তু কোনওদিনই সেই সার্টিফিকেট দেখাননি স্ত্রী। পুলিশে অভিযোগ দায়েরের পর মহিলা যে সার্টিফিকেট দেন, তাতে তাঁর জন্মসাল ১৯৯১ উল্লেখ করা ছিল। কিন্তু আসলে ১৯৮৫ সালে জন্ম তাঁর। জাল সার্টিফিকেট দেখিয়ে বিয়ে করেছিলেন। স্ত্রীর হাতে এমনভাবে প্রতারিত হয়ে এখন ডিভোর্স চাইছেন স্বামী।