ভোপাল: বিয়ে হয়েছে এক বছর। ছোট সুখী সংসার। সকলের সঙ্গেই ভাল ব্যবহার করে স্ত্রী। তাই কোনও ক্ষোভ ছিল না স্বামীর। বিরক্ত হতেন শুধু একটা বিষয়েই। ঘনঘন দেখা করতে আসেন স্ত্রীর এক দূর সম্পর্কের দাদা। এত ঘনিষ্ঠতা কীসের? মনে সন্দেহ জাগত ঠিকই, কিন্তু কোনও দিন প্রকাশ করেননি। তবে সেদিন ঘরে ঢুকে যা দেখলেন, তাতে পায়ের নীচ থেকে সরে গেল মাটি। কোনও কথা বললেন না, চরম সিদ্ধান্ত নিলেন এক লহমায়। রান্নাঘর থেকে কুড়ুল এনে টুকরো টুকরো করে দিলেন স্ত্রী ও তাঁর দূর সম্পর্কের দাদাকে।
ঘটনাটি ঘটেছে মধ্য় প্রদেশের দাতিয়ায়। সেখানে এক যুবক তাঁর স্ত্রী ও দূরসম্পর্কের শ্যালককে আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে ধরে ফেলেন। দেখে তিনি কিছু বলেননি। চুপচাপ রান্নাঘরে যান, সেখান থেকে কুড়ুল এনে খুন করেন স্ত্রীর প্রেমিককে। স্ত্রী বাধা দিতে এলে তাঁকেও খুন করেন।
রক্তমাখা জামা পরে, হাতে কুড়ুল নিয়েই থানায় হাজির হন ওই যুবক। পুলিশ অফিসাররা তাঁকে দেখে চমকে যান। ওই যুবক চেয়ারে বসে, শান্ত স্বরে বলেন, “স্যর, আমি আমার স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিককে খুন করেছি। আমাকে গ্রেফতার করুন। এই খুনের জন্য আমার কোনও অনুশোচনা নেই।”
জেরায় ওই যুবক জানান, এক বছর আগে তাঁর বিয়ে হয় পূজা বনস্কর নামের এক যুবতীর সঙ্গে। তাঁরা বেশ খুশিই ছিলেন। তাঁর স্ত্রীর এক দূর সম্পর্কের দাদা বারবার দেখা করতে আসতেন। ঘনঘন যাতায়াত দেখেই সন্দেহ জাগে তাঁর। স্ত্রীকে বিষয়টি জানালে, তিনি মজা করে গোটা বিষয়টি উড়িয়ে দেন।
এরপরও ওই আত্মীয়ের গতিবিধি থামেনি। ওই যুবক যখন বাড়ি থাকতেন না, সেই সময় ওই আত্মীয় দেখা করতে আসতেন। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে এই তথ্য জানতে পান। গত বুধবার ওই আত্মীয় আসেন। যুবক বাজার যাওয়ার অছিলায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। কিছুক্ষণ পরে তিনি বাড়ি ফিরে যান। লুকিয়ে বাড়িতে ঢুকেই চমকে যান। বেডরুমে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিককে। এরপরই তিনি কুড়ুল দিয়ে দুইজনকেই কুপিয়ে খুন করেন। পুলিশ ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে।