বোকারো: কথাতেই রয়েছে মদের নেশা সর্বনাশা। আর সেই নেশাতেই বুঁদ হয়ে থাকতেন বছর ৫০-র ব্যক্তি। কারও কোনও বাধাই শুনতেন না। স্ত্রী বারংবার মদ্যপানে বাধা দেওয়ায় এবার চরম পদক্ষেপ ব্যক্তির। নেশায় ডুব দিয়েই এবার নিজের ১২ তম স্ত্রীকে খুন করল ব্যক্তি।
ঝাড়খণ্ডের বোকারোর বাসিন্দা রামচন্দ্র তুরি। মদ্যপানই তার ধ্যান-জ্ঞান। বারণ করলেও শুনতেন না। জানা গিয়েছে, প্রত্যেক স্ত্রীয়ের সঙ্গে তার মদ্যপান নিয়ে ঝামেলা অশান্তি উঠত চরমে। শুধু তাই নয় স্ত্রীর গায়ে হাত তোলার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার এই অভ্যাসের জন্যই একে একে সব স্ত্রী ছেড়ে গিয়েছেন তাকে। ১২ তম বিয়ে করেছিল রাম। তবে তাঁকেও ধরে রাখতে পারল না। মদ্যপানে বারণ করায় নিজে হাকে ১২ তম স্ত্রী সাবিত্রী দেবীকে খুন করল এই মদ্যপ ব্যক্তি।
গিরিধের তারাপুর গ্রামে বাড়ি রামের। সেখানেই থাকতেন ৫০ বছর বয়সী রাম ও তাঁর ৪০ বছর বয়সী স্ত্রী সাবিত্রী দেবী। তাঁদের চার সন্তানও রয়েছে। তাঁদের বড় ছেলে রাজকুমার হায়দরাবাদে দিন মজুরের কাজ করেন। এক আত্মীয়ের বিবাহ অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন বাকি তিন সন্তান। সোমবার রাতে বাড়িতে একাই ছিলেন সাবিত্রী দেবী। গ্রামবাসীদের বক্তব্য অনুযায়ী, সেদিন মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি আসে রামচন্দ্র তুরি। বাড়িতে এসে মদ্যপান শুরু করে সে। সাবিত্রী দেবী বাধা দেন। উলটে তাঁকেই একটি কাঠের লাঠি দিয়ে মারধর শুরু করে রামচন্দ্র। তখনি জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে যান তিনি। কিন্তু হাত থামে না রামচন্দ্রের। সে তার ১২ তম স্ত্রীকে মারতেই থাকে। তিন ছেলেমেয়ে বাড়ি ফিরে হতবাক হয়ে যান। দেখেন ঘর ভাসছে রক্তে। আর মা পড়ে রয়েছেন মাটিতে। এই অবস্থা দেখে পাড়া প্রতিবেশী ছুটে আসেন। তাঁরাই পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে ঘটনার তদন্ত শুরু করে। ডিএসপি সঞ্জয় রানা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রামচন্দ্র তুরিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।