Gaziabad Roadside Murder : পার্কিং নিয়ে ঝামেলা, মাথা থেঁতলে দেওয়া হল অবসরপ্রাপ্ত পুলিশকর্মীর ছেলের, প্রকাশ্যে ভয়ঙ্কর ভিডিয়ো

TV9 Bangla Digital | Edited By: অঙ্কিতা পাল

Oct 26, 2022 | 6:34 PM

Gaziabad Roadside Murder : পার্কিং নিয়ে বচসা বাঁধায় পাথর দিয়ে প্রহার করা হল এক ব্যক্তিকে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

Gaziabad Roadside Murder : পার্কিং নিয়ে ঝামেলা, মাথা থেঁতলে দেওয়া হল অবসরপ্রাপ্ত পুলিশকর্মীর ছেলের, প্রকাশ্যে ভয়ঙ্কর ভিডিয়ো
ছবি সৌজন্যে: অভিজিৎ বিশ্বাস

Follow Us

গাজিয়াবাদ: শহরের রাস্তায় পার্কিং নিয়ে ঝামেলা দেখা যায় অনেক সময়ই। এমন ঘটনার ক্ষেত্রে অনেক সময়ই দুই পক্ষ হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। তবে এই ধরনের বচসার জেরে খুনের ঘটনা ঘটল উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদে। এই ভয়ানক ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, গাজিয়াবাদের একটি রেস্তোরাঁর সামনে ঘটনাটি ঘটেছে। মৃত ব্য়ক্তির নাম বরুণ। বয়স ৩৫ বছর। তাঁর বাবা দিল্লি পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। জানা গিয়েছে, বরুণের মাথায় ইটের আঘাত করা হয়। এর জেরে তাঁর মাথা থেতলে যায় এবং তাঁর মৃত্যু হয়।

গাজিয়াবাদের এই নৃশংস ঘটনার ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। রাস্তার এক পথচারী ভিডিয়োটি করেন। তাতে দেখা যায়, একজন ব্যক্তি বরুণের মাথায় নৃশংসভাবে ইট দিয়ে প্রহার করছেন। গোটা ঘটনাটাই হয়েছে পার্কিং নিয়ে বচসার জেরে। জানা গিয়েছে, বরুণ রেস্তোরাঁর বাইরে নিজের গাড়ি পার্ক করেছিল। তাঁর গাড়ি এমনভাবে দাঁড় করানো হয়েছিল, যাতে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িটির দরজা খোলা যাচ্ছিল না। আর এর জন্যই বচসা বাঁধে। সেই বচসা হাতাহাতি এবং পরবর্তীতে এই অপরাধে পরিণত হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার প্রেক্ষিতে মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে পুলিশের পাঁচটি দল তল্লাশি চালাচ্ছে। তবে পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয় থাকার অভিযোগ উঠেছে। এই আবহে পুলিশ থানার সামনে আম জনতা বিক্ষোভও প্রদর্শন করেছেন বলে জানা গিয়েছে।

জানা গিয়েছে, যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে, তার কাছেই থাকতেন বরুণ। ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, বরুণ মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে। সেখানে তাঁকে ঘিরে রয়েছে বেশ কয়েকজন। তাদের মধ্যে একজন নৃশংস ভাবে বরুণের মাথায় ইট দিয়ে মারছিল। ঘটনার পর স্থানীয় কয়েকজন বরুণকে হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। জানা গিয়েছে, গতকাল বরুণের সঙ্গে দীপক নামক তাঁর এক বন্ধু ছিলেন। সেই বন্ধুর এক আত্মীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন, ‘বরুণকে যেভাবে মারা হয়েছে, সেভাবে কেউ কারও শত্রুকেও মারে না।’ এদিকে রাস্তায় প্রকাশ্যে এভাবে খুনের ঘটনা ঘটায় গাজিয়াবাদের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে। এদিকে গাজিয়াবাদে রাস্তার পাশের রেস্তোরাঁগুলিতে বিনা অনুমতিতে মদ বিক্রির বিষয়টিও সামনে এসেছে। খুনে জড়িত যুবকরা মত্ত অবস্থায় এই কাণ্ড ঘটিয়েছে কি না, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। কারণ গাজিয়াবাদে এর আগেও এই ধরনের হিংসার ঘটনা ঘটেছে মদের নেশায়।

Next Article