Relation: স্ত্রী নয়, শ্যালিকাকেই চাই, প্রেমে হাবুডুবু জামাইবাবু ঘটালেন ভয়ঙ্কর কাণ্ড
Relation: এসএসপি আশিস ভারতী জানিয়েছেন, মৃতার স্বামী পঙ্কজ কুমারের সঙ্গে তাঁর শ্যালিকার সম্পর্ক ছিল। তিনি তাঁর স্ত্রীর নামে পাঁচ লক্ষ টাকার করে দুটি বিমাও করিয়েছিলেন।
গয়া: ভালোবাসা কি আর কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে! বিয়ের পর পরকীয়াও নতুন কিছু নয়। তবে এক যুবক প্রেমে পড়ে যা কাণ্ড ঘটালেন তাতে জেলের মুখ দেখতে হল তাঁকে। আসলে শ্যালিকা-জামাইবাবুর প্রেম চলছিল রমরমিয়ে। দুজনেরই প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিলেন। তবে একজন নিরপরাধ মানুষকে এর খেসারত দিতে হয়েছে। তিনি হলেন যুবকের স্ত্রী।
বিহারের গয়ার ঘটনা। কয়েক মাস ধরে পরিকল্পনা করে শ্যালিকাকে খুন করেন ওই ব্যক্তি। টাকা দেন সুপারি কিলারকে। সুপারি খুনি টাকার বিনিময়ে ওই ব্যক্তির স্ত্রীকে খুন করে। প্ল্যানিং এতটাই ছিল যে, অভিযুক্ত স্ত্রীকে হত্যা করার আগে বিমাও করিয়েছিলেন, যাতে স্ত্রীর মৃত্যুর পর তিনি বিমার টাকা হাতিয়ে নিতে পারেন।
গয়া জেলার বস্ত্র ব্যবসায়ী পঙ্কজ কুমারের স্ত্রী অঞ্জলি কুমারীর হত্যার তদন্ত করছিল পুলিশ। গত ১০ ডিসেম্বর গয়ার ডুমারিয়া ব্লকের বোধি বিঘা থানা এলাকার রামপুর ও মাহুদি বাজারের মধ্যে এক দম্পতি ডাকাতির শিকার হয়। ডাকাতির সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ওই মহিলার।
হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা হয়েছিল একটি পিস্তল, দুটি কার্তুজ ও তিনটি মোবাইল ফোন। তদন্তে জানা গিয়েছে, ভাদ্বার থানার ভোকাহার বাসিন্দা ব্যবসায়ী পঙ্কজ কুমার কন্ট্রাক্ট কিলারের সাহায্য নিয়ে স্ত্রীকে খুন করেন। কারণ তিনি শ্যালিকাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। স্ত্রী ছিলেন তাঁদের পথের কাঁটা।
এসএসপি আশিস ভারতী জানিয়েছেন, মৃতার স্বামী পঙ্কজ কুমারের সঙ্গে তাঁর শ্যালিকার সম্পর্ক ছিল। তিনি তাঁর স্ত্রীর নামে পাঁচ লক্ষ টাকার করে দুটি বিমাও করিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশের তৎপরতার কারণে বিমা কোম্পানির টাকা রক্ষা পায়। বর্তমানে জেলে রয়েছেন পঙ্কজ।