প্রাপ্য টাকা না মেটালে গোটা বিশ্বে খরার সৃষ্টি করবেন, হুমকি ‘বিষ্ণুর কল্কি অবতারের’!
নিজেকে বিষ্ণুর দশম অবতার বলে দাবি করা রমেশ চন্দ্র বলেন, "বিগত ২০ বছরে একবারও খরা হয়নি। ভাল বৃষ্টিপাতের জন্য ২০ লক্ষ কোটি টাকা লাভ করেছে দেশ। এরপরও সরকারে বসে থাকা শয়তানরা আমাকে হেনস্থা করছে।"
আহমেদাবাদ: মাসের পর মাস অফিসে গরহাজির থাকার কারণ জিজ্ঞাসা করতেই তিনি জানিয়েছিলেন, সাধারণ মানুষ নন, তিনি আসলে ভগবান বিষ্ণুর কল্কি অবতার (Kalki Avatar)। গুজরাটের বাসিন্দা রমেশ চন্দ্র ফেফারকে বোঝানোর বহু চেষ্টা করা হলেও তিনি নিজের মন্তব্যেই অনড় ছিলেন। শেষমেশ তাঁর আবেদনের ভিত্তিতে মেয়াদের আগেই অবসর দিয়েছিল সরকার। এ বার তাঁর দাবি, দ্রুত গ্রাচুইটি(Gratuity)-র টাকা না দিলে গোটা বিশ্বে তিনি খরার সৃষ্টি করবেন!
গুজরাটের জলসম্পদ বিভাগের সুপারিন্টেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার রমেশ চন্দ্র ফেফার ২০১৮ সালে ছয় মাসে কেবল ১৮দিন অফিস যান। তাঁকে শো-কজ নোটিস ধরাতেই তিনি জানান, ভগবান বিষ্ণুর কল্কি অবতার তিনি। দেশ তথা গোটা বিশ্বে বৃষ্টিপাত আনেন তিনি। সেই কারণেই নিয়মিত অফিসে আসা সম্ভব নয় তাঁর পক্ষে। পরে অফিসের চাপে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। মেয়াদের আগেই অবসর নেওয়ার কারণে যে মোটা অঙ্কের গ্রাচুইটির টাকা পাওয়া যায়, তা ক্রমাগত দাবি করতে থাকেন তিনি।
তাঁর দাবি, গ্রাচুইটি বাবদ ১৬ লক্ষ টাকা এবং একবছরের বেতন বাবদ আরও ১৬ লক্ষ টাকা পাওনা রয়েছে তাঁর। কিন্তু এখনও অবধি সেই টাকা না মেলায় গত ১ জুলাই তিনি জলসম্পদ বিভাগের প্রধান আধিকারিকের কাছে চিঠি লিখে জানান, সরকারে বসে থাকা শয়তানরা তাঁর টাকা আটকে রেখে হেনস্থা করছে। যদি বকেয়া টাকা মেটানো না হয়, তবে তিনি এই বছরই গোটা বিশ্বে খরার সৃষ্টি করবেন।
নিজেকে বিষ্ণুর দশম অবতার বলে দাবি করা রমেশ চন্দ্র বলেন, “বিগত ২০ বছরে একবারও খরা হয়নি। ভাল বৃষ্টিপাতের জন্য ২০ লক্ষ কোটি টাকা লাভ করেছে দেশ। এরপরও সরকারে বসে থাকা শয়তানরা আমাকে হেনস্থা করছে। আমি বিষ্ণুর দশম অবতার, সত্যযুগে আমার শাসন চলে। আমি এই বছর গোটা বিশ্বে খরার সৃষ্টি করব।”
এ দিকে, চিঠি পেয়ে জলসম্পদ বিভাগের আধিকারিক বলেন, “উনি কাজ না করেও বেতনের দাবি করছেন। কারণ তিনি নাকি কল্কি অবতার ও পৃথিবীতে বৃষ্টিপাত আনার কাজ করছিলেন তিনি। ওনার মানসিক অবস্থার দিকটি বিবেচনা করেই ওনাকে মেয়াদের আগে অবসর নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। নাহলে কারোর বিরুদ্ধে তদন্ত চলাকালীন তিনি কখনও অবসর নিতে পারেন না।”
আরও পড়ুন: সৎকারের পর ছাই সংগ্রহ করতে পারেনি পরিবার, সেই ছাই দিয়েই শ্মশানে তৈরি হচ্ছে পার্ক!
⇜ TV9 EXCLUSIVE: না পড়লেই নয় ⇝