Kangana Ranaut: তিনি নাকি সাংসদ! ভোটাররা বিপদে পড়তেই কঙ্গনার যুক্তি, ‘আমার কাছে তো ফান্ড নেই’
Himachal Pradesh Flood: রবিবার বন্যা বিধ্বস্ত মান্ডি পরিদর্শনে যান সেখানকার সাংসদ কঙ্গনা রানাউত। সেখানেই তাঁকে যখন প্রশ্ন করা হয় যে নিজের কেন্দ্রের মানুষদের জন্য কী করেছেন, কঙ্গনা দিলেন অদ্ভুত যুক্তি।

সিমলা: ছিল অনেক আশা-ভরসা। ভোট দিয়ে সাংসদ নির্বাচিত করেছিলেন তাঁকে। বিপদ আসতেই হাত তুলে নিলেন তিনি। বললেন, তাঁর কোনও ক্যাবিনেট পদ নেই, না আছে বিপর্যয় মোকাবিলার ফান্ড! বিধ্বস্ত হিমাচলের পরিস্থিতি দেখতে গিয়ে এই যুক্তিই দিলেন বিজেপি সাংসদ তথা অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত।
বর্ষা শুরু হতেই প্রকৃতির রুদ্র রূপ দেখছে হিমাচল প্রদেশ। সিমলা, কুলু, মানালি, মান্ডি- একের পর এক জায়গায় হড়পা বান, ধস নামছে। ফুলে-ফেঁপে উঠেছে নদী। জলের স্রোতে ভেসে যাচ্ছে ঘর-বাড়ি থেকে মানুষ। রাজ্যে মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ৫০-র গণ্ডি পার করেছে।
রবিবার বন্যা বিধ্বস্ত মান্ডি পরিদর্শনে যান সেখানকার সাংসদ কঙ্গনা রানাউত। সেখানেই তাঁকে যখন প্রশ্ন করা হয় যে নিজের কেন্দ্রের মানুষদের জন্য কী করেছেন, কঙ্গনা দিলেন অদ্ভুত যুক্তি। তিনি বলেন, “বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য আমার কোনও ফান্ড নেই। না আমার আছে ক্যাবিনেট পোস্ট। সাংসদদের কাজ সংসদেই সীমাবদ্ধ। আমরা খুবই ক্ষুদ্র। তবে আমি কেন্দ্র থেকে বিপর্যয় মোকাবিলা ফান্ড পাইয়ে দিতে সাহায্য করতে পারি।”
বন্যা দুর্গতদের দুর্দশার জন্য তিনি কংগ্রেস সরকারকেই দুষেছেন। মেঘভাঙা বৃষ্টিতে যারা প্রাণ হারিয়েছেন বা যারা আহত, তাদের রাজ্য সরকার কোনও ত্রাণ দেয়নি বলেই অভিযোগ করেন কঙ্গনা। বলেন, “যারা দায়ী, তারা মুখ লুকাচ্ছে। ওরা দুর্নীতি করতে ব্যস্ত। কেন্দ্রের তহবিল তাদের কাছে আসবে। আমার বা জয়রাম ঠাকুরের কাছে নয়। সিদ্ধান্ত নিতে আমার হয়তো কিছু ক্ষমতা থাকতে পারে, কিন্তু রাজ্য বা পঞ্চায়েত স্তরে ক্ষমতা খুব কম।”
কঙ্গনা আরও বলেন, “স্থানীয় স্তরে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ত্রাণ দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফরে থাকলেও তিনি জানেন এখানে কী হচ্ছে। সাংসদ হিসাবে আমার কাছ তহবিল এনে দেওয়া এবং পরিস্থিতির কথা সরকারকে জানানো।”





