আগরতলা: আজ, বুধবার ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। সমস্ত জল্পনার অবসান ঘুচিয়ে ফের ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথগ্রহণ করবেন মানিক সাহা। এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসবেন মানিক। আর তাঁর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে.পি নাড্ডা। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাও থাকতে পারেন মানিক সাহার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে।
জানা গিয়েছে, এদিন বেলা ১১টা নাগাদ আগরতলায় রাজভবনে রাজ্যপাল সহ নব-নির্বাচিত বিধায়কদের উপস্থিতিতে ত্রিপুরার নতুন সরকারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হবে। মুখ্যমন্ত্রী পদে মানিক সাহা ছাড়াও শপথ নেবেন নতুন মন্ত্রিসভার বেশ কিছু সদস্য। বিধানসভায় অভাবনীয় ফলের জন্য রাজ্যবাসী থেকে দলীয় কর্মী ও নব-নির্বাচিত দলীয় বিধায়কদের অভিনন্দন জানাতেই মানিক-সরকারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
ত্রিপুরা সরকারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য মঙ্গলবার নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের পরই আগরতলা পৌঁছে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগরতলার রাস্তার দু-পাশে দাঁড়িয়ে ফুল ছুড়ে, করজোড়ে প্রণাম জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান ত্রিপুরার বাসিন্দারা। মানিক সাহা সহ ত্রিপুরার নতুন সরকারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে এদিনই দিল্লি ফিরে আসবেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের মে মাসে, বিধানসভা নির্বাচনের মাত্র মাস দশেক আগে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে সরিয়ে মানিক সাহাকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়। মূলত বিরোধীদের চাপে এবং ত্রিপুরায় রাজনৈতিক টানাপোড়েনের জেরে বিপ্লব দেবকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে মানিক সাহাকে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসায় বিজেপি নেতৃত্ব। এবারের নির্বাচনও তাঁকে সামনে রেখেই লড়েছিল বিজেপি। বিজেপি-আইপিএফটি জোট ৩৩টি আসনে জিতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেছে। তাই মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিকের নাম উঠলেও শেষ পর্যন্ত ৭০ বছর বয়সী ডাক্তারবাবুর উপরই আস্থা রাখে গেরুয়া শিবির।