মুম্বই: এক সময়ের সতীর্থই এখন প্রতিদ্বন্দ্বী। শিবসেনা ভাঙিয়েই বিধায়কদের নিয়ে গিয়েই বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন একনাথ শিন্ডে। এর জেরে মুখ্যমন্ত্রীর গদি হারাতে হয়েছে উদ্ধব ঠাকরেকে, বিক্ষুব্ধ বিধায়ক ও বিজেপির সমর্থন নিয়েই নতুন সরকার গঠন করেছেন একনাথ শিন্ডে। মহারাষ্ট্রের এই মহা নাটকের যবনিকা পতন হলেও, দলের অন্দরের টানাটানি শেষ হচ্ছে না। এরই মাঝে এক মারাঠী অভিনেত্রীর টুইট ঘিরে বাড়ল জল্পনা। অভিনেত্রী দীপালি সইদ, যিনি নিজেকে শিবসেনা সমর্থক ও নেত্রী বলেই পরিচয় দেন, তিনি দাবি করেন যে, দুই দিনের মধ্যেই মুখোমুখি আসতে চলেছেন উদ্ধব ঠাকরে ও একনাথ শিন্ডে। নিজেদের মধ্যে তৈরি হওয়া সমস্যা ও দূরত্ব মিটিয়ে ফেলতেই প্রাক্তন ও বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মুখোমুখি আসছেন বলে দাবি অভিনেত্রীর।
রবিবার দীপালি সইদ টুইট করে লেখেন, “এই কথা জেনে খুব খুশি হচ্ছে যে আগামী দুই দিনের মধ্য়েই শিব সৈনিকদের অনুভূতির কথা মাথায় রেখে বৈঠকে বসছেন উদ্ধব ঠাকরে ও একনাথ শিন্ডে। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে শিব সৈনিকদের অনুভূতিকে বুঝতে পেরেছেন এবং উদ্ধব ঠাকরেও নিজের খোলা মনের প্রমাণ দিয়ে তাঁকে পরিবারের প্রধান সদস্য হিসাবে স্বীকার করে নিয়েছেন। এই বৈঠকের পৌরহিত্য করছেন বেশ কিছু বিজেপি নেতা।”
বিজেপির তরফে এই বিষয়ে মুখ না খোলা হলেও, উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বে থাকার শিবসেনার তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় যে, ওই অভিনেত্রী শিবসেনার কোনও পদে নেই। তিনি ২০১৯ সালে শিবসেনার টিকিটে থানে জেলার মুম্বরা-কালওয়া কেন্দ্র থেকে লড়েছিলেন, কিন্তু জয়ী হতে পারেননি। তার আগে ২০১৪ সালেও তিনি আম আদমি পার্টির টিকিটে আহমেদনগর থেকে লড়েছিলেন। সেই ভোটেও পরাজিত হয়েছিলেন। এখনও অভিনেত্রীর টুইটার প্রোফাইলের বায়োতে শিবসেনা নেতা হিসাবেই উল্লেখ করা রয়েছে।
দীপালি সইদের টুইট প্রসঙ্গে শিবসেনা নেতা তথা সাংসদ সঞ্জয় রাউত বলেন, “আমি এই বিষয়ে কোনও কিছু জানি না। আমি দলের অত্যন্ত ক্ষুদ্র একজন কর্মী”। ঠাকরে-শিন্ডের বৈঠক নিয়ে মুখ খুলতে না চাইলেও, ১৫ দিন কেটে গেলেও মহারাষ্ট্রের মন্ত্রিপরিষদ গঠন না করা নিয়ে কটাক্ষ করেন রাউত। তিনি বলেন, “সংসদীয় সমস্যার জেরেই মন্ত্রিসভা গঠন করা যাচ্ছে না। ৪০ জনের বিধায়ক পদ খারিজ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি চলছে। যদি তারা মন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন, তবে তাদের বিধায়ক পদ খারিজ করে দেওয়া হবে।”