মুম্বই: ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির প্রধান শরদ পওয়ারের বিরুদ্ধে মানহানিকারক ও অবমাননাকর কবিতা পোস্ট করায় গ্রেফতার হতে হয়েছিল মারাঠি অভিনেত্রী কেতকী চিতলে-কে। সম্প্রতিই জামিনে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। এরপরই মুখ খুলেছেন তাঁর গ্রেফতারি নিয়ে। কীভাবে বাড়ি থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন মারধর ও শ্লীলতাহানি করা হয়েছিল, তা নিয়েও বিস্ফোরক দাবি করেন ওই অভিনেত্রী।
মারাঠি অভিনেত্রী কেতকী বলেন, “আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বিনা নোটিস বা গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়াই আমায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমি জানতাম যে আমি কোনও দোষ করিনি, বেআইনি কিছু করিনি। আমি সত্যনিষ্ঠ ছিলাম, তাই সবকিছু সহ্য করে নিতে পেরেছি।”
তিনি আরও বলেন, “আমি হাসিমুখে বেরিয়ে এসেছিলাম। জামিনে ছাড়া পেয়েছি আমি। আমার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ২২টি মামলার মধ্যে মাত্র একটি মামলায় জামিন পেয়েছি। এখনও সম্পূর্ণ মুক্ত নই। লড়াই জারি রয়েছে।”
কেতকী বলেন, “সামান্য একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের ভিত্তিতে যখন আমায় গ্রেফতার করা হয়েছিল, সেই সময় আমি শাড়ি পরেছিলাম। ধাক্কাধাক্কিতে আমার কাঁধ থেকে আঁচল পরে যায়। সেই সময়ই কেউ একজন আমার উপরে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। ধাক্কা মারে আমায়, ডানদিকের স্তনে আঘাত করে।”
মারাঠি অভিনেত্রীর আরও দাবি, পুলিশকর্মীরা যখন তাঁকে মেরেছিল, তখন তিনি হুমড়ি খেয়ে পুলিশের গাড়ির মধ্য়ে পড়ে যান।
মারাঠি অভিনেত্রী জানান, যে পোস্টের জেরে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাতে তিনি ‘পওয়ার’ শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। সাধারণ মানুষই নিজে থেকে ধরে নেন যে শরদ পওয়ারকে কটাক্ষ করেই তিনি এই পোস্ট করেছিলেন। তিনি বলেন, “আমি কাউকে অপমান করিনি। সাধারণ মানুষ ওইরকম ভেবে নিয়েছিলেন। যারা ওই পোস্টের ওরকম ব্যাখ্যা করেছিলেন, তারা কি নিজেরা শরদ পওয়ারকে ওই চোখে দেখেন? যদি তা না হয়, তবে আমার বিরুদ্ধে এফআইআর কেন দায়ের হল?”