নয়া দিল্লি: যেকোনও মুহূর্তেই ইউক্রেনের (Ukraine) উপর হামলা চালাতে পারে রাশিয়া (Russia)। দুই দেশের মধ্যে এই উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির জেরে চিন্তা বাড়ছে ভারতেরও। কারণ সে দেশে এখনও অনেক ভারতীয় আটকে রয়েছে। তবে এখনই ইউক্রেনে বসবাসকারী ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে আনার কোনও পরিকল্পনা নেই বলেই জানানো হল বিদেশ মন্ত্রকের (Ministry of External Affairs) তরফে। তবে এয়ার বাবল চুক্তির মাধ্যমে ভারত ও ইউক্রেনের মধ্যে বিমানের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মঙ্গলবারই দাবি করেছিলেন যে, রুশ সেনার সামরিক মহড়া শেষ হয়েছে। সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু গতকালই উপগ্রহ চিত্রে সেই দাবির সত্যতা সামনে আসে। দেখা যায় যে, ইউক্রেনের সীমান্তে এখনও বিপুল পরিমাণে সেনা মোতায়েনের ছবি ধরা পড়েছে। বেলারুশ, ক্রাইমিয়া এবং পশ্চিম রাশিয়ায় সামরিক প্রস্তুতিরও চিত্র দেখা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয়দের নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে।
গতকালই বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, “এখনই ভারতীয়দের উদ্ধার করে আনার কোনও পরিকল্পনা নেই। তাই বিশেষ কোনও বিমানের ব্যবস্থাও করা হয়নি। তবে এয়ার বাবল চুক্তির অধীনে যে সীমীত সংখ্যক বিমান চলছিল, তার উপর থেকে বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে। ভারতীয় উড়ান সংস্থাগুলিকেও ইউক্রেনের সঙ্গে চার্টাড বিমান পরিচালনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।”
উল্লেখ্য, গতকালই কেন্দ্রের তরফে এয়ার বাবল চুক্তির অধীনে যে সীমীত সংখ্যক বিমান ওঠানামা করছিল ভারত ও ইউক্রেনের মধ্যে, তার উপর থেকে বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে। অসামরিক উড়ান মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, চার্টাড ও সাধারণ যাত্রীবাহী বিমানের সংখ্যার উপরে বিধিনিষেধ থাকছে না। চাহিদা অনুযায়ী উড়ান সংস্থাগুলি বিমানের সংখ্যা বাড়াতেই পারে।
রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে যে বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েন হওয়ার চিত্র ধরা পড়েছে, সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয় যে, দ্রুত যাতে সেনা প্রত্যাহার করা হয়, তার আশা করা হচ্ছে। শান্তিপূর্ণভাবে কূটনৈতিক স্তরে আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে বলেই আশা করা হচ্ছে।
বুধবারই বিদেশমন্ত্রকের তরফে একটি কন্ট্রোল রুম তৈরি করা হয়েছে। ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয়দের সম্পর্কে তথ্য ও কোনও প্রকার সহায়তার প্রয়োজন হলে, এই কন্ট্রোল রুম থেকেই যাবতীয় ব্যবস্থা করা হবে। কিভে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের তরফেও ভারতীয় নাগরিক, বিশেষ করে পড়ুয়াদের আপাতত ইউক্রেন ছেড়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিনা প্রয়োজনে ইউক্রেনের মধ্যে ঘোরাফেরা করতেও বারণ করা হয়েছে।