রায়পুর: ছত্তীসগঢ়ের দুর্গের বাসিন্দা যমুনা চক্রধারী। তাঁর পরিবারে অভাব নিত্যসঙ্গী। কিন্তু সেই অভাব তাঁর স্বপ্নপূরণে বাধা হতে পারেনি। পরিবারকে সাহায্য করতে ইট কারখানায় কাজ করেন তিনি। দিনে ৬ ঘণ্টা কাজ করার পাশাপাশি চালিয়ে গিয়েছেন পড়াশোনা। তা করেই এসেছে সাফল্য সর্বভারতীয় মেডিক্যাল এন্ট্রাস পরীক্ষায় (নিট পরীক্ষা) সফল হয়েছেন তিনি। নিট পরীক্ষায় ৭২০ নম্বরের মধ্যে ৫১৬ পেয়েছেন তিনি। সর্বভারতীয় স্তরে ৯৩ হাজার ৬৮৩ ব়্যাঙ্ক করেছেন তিনি। ওবিসি ক্যাটিগরিতে তাঁর ব়্যাঙ্ক ৪২ হাজার ৬৮৪। তবে কেবল এমবিবিএস পড়েই ক্ষান্ত হতে চান না যমুনা। তিনি জানিয়েছেন এমবিবিএস-এর পর এমডি করা তাঁর লক্ষ্য। এমডি পাশ করে নিজের গ্রামের গরিব মানুষকে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া তাঁর লক্ষ্য।
যমুনার সাফল্যে উচ্ছ্বসিত তাঁর পরিবারের লোক ও গ্রামবাসীরা। যমুনার সাফল্যের পিছনে তাঁর বাবা বৈজনাথ চক্রধারী জানিয়েছেন, সন্তানদের ভাল শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা তিনি করেছেন। পরিবারের অভাব থাকলেও তাঁর সাধ্যমত চেষ্টা করেছেন। যমুনার সাফল্যে নিজের গর্ব গোপন করেননি তিনি। যমুনার মা কুসুম চক্রধারীর জীবনে পড়াশোনার সুযোগ আসেনি। কিন্তু ছেলে-মেয়ে উচ্চশিক্ষিত হে তাঁদের ভবিষ্যত জীবন যে সুন্দর হয়ে উঠবে তা বিলক্ষণ বোঝেন তিনি।
যমুনা জানিয়েছেন, ৬ ঘণ্টা দিনমজুরির কাজ করেই পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছেন তিনি। অশ্বিনী চন্দ্রকর নামের এক চিকিৎসক তাঁকে সাহায্য করেছেন। বিভিন্ন বই দিয়েছেন ও গাইড করেছেন। যমুনার দিদি যুক্তি চক্রধারী গত বছর ইতিহাসে স্নাতকোত্তর পাশ করেছেন হেমচাঁদ যাদব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।