শিলং: গোমাংস খাওয়ার উপর বিজেপির কোনও বিধিনিষেধ নেই। তিনি নিজেই গোমাংস খান এবং এই নিয়ে দলের মধ্যে তাঁকে কখনও সমস্যায় পড়তে হয়নি। ২৭ ফেব্রুয়ারিই মেঘালয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। খ্রিস্টান প্রধান মেঘালয়ে নির্বাচনের আগে জোর চর্চা চলছে গোমাংস ভক্ষণ নিষিদ্ধ, সিএএ জারি করার মতো বিষয়গুলি নিয়ে। তারই মধ্যে এমন মন্তব্য করলেন বিজেপির মেঘালয় রাজ্যের সভাপতি আর্নেস্ট মাওরি। সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-কে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে মাওরি বলেছেন, “আমি গরুর মাংস খাই এবং আমি বিজেপিতে আছি। এই নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। মেঘালয়ের মানুষ এবার বিজেপির সঙ্গে আছে। ২ মার্চ ফল বের হলেই তা দেখা যাবে।” তিনি আরও বলেছেন, বিজেপি কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসার পর থেকে কোনও গির্জার উপর হামলা হয়নি।
আর্নেস্ট মাওরি আরও দাবি করেছেন, আসন্ন রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি দুর্দান্ত ফল করতে চলেছে। তিনি বলেছেন, “এবার, আমরা রাজ্যের ৬০টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছি। আমরা ভাল ফলের প্রত্যাশা করছি। ভোটের ফল বের হওয়ার পর, দুর্নীতিতে ডুবে নেই এমন কোনও দলের হাত ধরতে পারি আমরা।” তিনি জানান, গত পাঁচ বছরে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি বা এনপিপি ‘বড় মাপের দুর্নীতি’তে জড়িয়ে পড়েছিল। দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিজেপির ‘শূন্য সহনশীলতা’ নীতি রয়েছে। এই কারণেই গেরুয়া শিবির তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে বলে দাবি করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে এনপিপি-বিজেপি জোট সরকার গড়েছিল। তবে, আসন্ন নির্বাচনের আগে শাসক জোট ভেঙে গিয়েছে। বিজেপি-এনপিপি পরস্পর পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। সম্পর্ক ছিন্ন করার পর থেকে এনপিপির বিরুদ্ধে লাগাতার দুর্নীতির অভিযোগ তুলছে বিজেপি। মাওরি বলেছেন, “গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আমরা একের পর এক আরটিআই আবেদনপত্র দাখিল করেছি। আমরা দেখেছি বর্তমান সরকারের অধীনে মেঘালয়ে কীভাবে ব্যাপক হারে দুর্নীতি চলছে। আমাদের কাছে সব রেকর্ড আছে।” ৬০ আসনের মেঘালয় বিধানসভার সব আসনেই প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। এনপিপি প্রার্থী দিয়েছে ৫৬ আসনে।
অন্যদিকে শনিবারই তুরা জেলায় প্রচারে এসেছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি দাবি করেছেন, মেঘালয়ে এনপিপি সরকারের অধীনে কেন্দ্রীয় সরকারের জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির সুবিধা হাতে গোনা কয়েকটি মাত্র পরিবার পেয়েছে। এদিন মহেন্দ্রগঞ্জ, রোংজেং, মেন্দিপাথার এবং খরকুট্টায় পরপর চারটি সমাবেশে বক্তৃতা দেন তিনি। অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী-আবাস যোজনার মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলির সুবিধা মেঘালয়ের মাত্র কয়েকটি পরিবারই পেয়েছে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে অসমের মতো কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির সুবিধা মেঘালয়ের মানুষও পাবে। মেঘালয়ের যুবকরা বেকারত্বের বোঝার নীচে চাপা পড়ছে বলে দাবি করে তিনি জানান, শুধুমাত্র বিজেপিই রাজ্যে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে পারে।