Home Ministry Forms committee: বিঘ্নিত প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা, তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের
Security Breach: প্রধানমন্ত্রীর সফর সূচি সম্পর্কে আগেভাগেই পঞ্জাব সরকারকে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা যাতে কোনরকম ভাবে বিঘ্নিত না হয়, সেই সংক্রান্ত যাবতীয় বন্দোবস্ত করার কথা ছিল সরকারের।
নয়া দিল্লি: গত ১৯ নভেম্বর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনটি বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর, সংসদ অধিবেশনের প্রথমদিনই নিয়মমাফিক আইন প্রত্যাহার করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। চলতি বছরই পঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচন। কৃষি আইন বাতিলের পর এই প্রথম পাঞ্জাব সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু প্রথম সফরের ঘটে বিপত্তি। বিশেষ কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার পথে বিক্ষোভে মুখে পড়েন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর যাত্রাপথে তাঁর কনভয় যখন একটি ব্রিজের উপর পৌঁছয়, তখন দেখা যায় যে বেশ কিছু বিক্ষোভকারী অবরোধ করেছে। ব্রিজের উপরে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার কারণে সেখান থেকে তাঁকে ফিরিয়ে আনেন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা আধিকারিকরা।
কমিটি গঠন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের
এই ঘটনার পর তোলপাড় পড়ে যায় জাতীয় রাজনীতি। বিজেপি সহ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এই ঘটনার জন্য কংগ্রেস শাসিত পঞ্জাব সরকারকেই দায়ী করেছিল। এবার এই ঘটনার তদন্তের জন্য তিন সদস্যের বিশেষ কমিটি গঠন করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। আজই কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছে অমিত শাহরে মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন সদস্যের এই কমিটিতে রয়েছেন, ক্যাবিনেট দফতরের নিরাপত্তা সচিব সুধীর কুমার সাক্সেনা, ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর যুগ্ম অধিকর্তা বলবীর সিং এবং স্পেশ্যাল প্রোটেকশন গ্রুপের আইজি এস. সুরেশ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে এই কমিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত করে রিপোর্ট জমা করতে।
গতকালই কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল অমিত শাহের দফতর
গতকালই প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল, “প্রধানমন্ত্রীর সফর সূচি সম্পর্কে আগেভাগেই পঞ্জাব সরকারকে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা যাতে কোনরকম ভাবে বিঘ্নিত না হয়, সেই সংক্রান্ত যাবতীয় বন্দোবস্ত করার কথা ছিল সরকারের। রাস্তায় কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাজ্য সরকারের পুলিশের উচিত ছিল বাড়তি বাহিনী মোতায়েন করা। দৃশ্যতই, ওই ব্রিজে বাড়তি কোনো পুলিশ বাহিনী লক্ষ্য করা যায়নি। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার কারণে তাঁকে পুনরায় ভাটিন্ডা বিমানবন্দরে ফিরিয়ে আনা হয়। ইতিমধ্যে, পঞ্জাব সরকারের কাছে এই ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। রাজ্য প্রশাসনকে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার ঘটনায় যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে।”