নয়া দিল্লি: ১১ ঘণ্টার ম্যারাথন বৈঠক। চূড়ান্ত ফয়সালা হয়ে গেল সেই বৈঠকেই। তৈরি নতুন ক্যাবিনেট। এই ক্যাবিনেটের সদস্য কারা হবেন, তার সিদ্ধান্ত নিলেন অমিত শাহ, বিজেপির সভাপতি জেপি নাড্ডা ও দলের সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষ। আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শপথ নিতে পারেন ৩০ জন মন্ত্রী। তাদের শনিবার রাত থেকেই ফোন করা শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, ফোন এসেছে চিরাগ পাসওয়ান, এইচডি কুমারস্বামীর কাছে। অন্যদিকে, বাংলা থেকে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও শান্তনু ঠাকুরের কাছেও ফোন এসেছে। তাঁরাও মন্ত্রী হতে পারেন।
আজ সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করবেন নরেন্দ্র মোদী। সূত্রের খবর, তার আগেই হবু মন্ত্রীদের সঙ্গে চা-বৈঠকে বসবেন মোদী। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনেই এই আসর বসবে।
কারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আজ শপথ গ্রহণ করবেন, তা গতকালের বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠকেই স্থির করা হয়েছে। রাত থেকেই সাংসদদের কাছে ফোন আসা শুরু হয়েছে। সকালেও একাধিক নব নির্বাচিত সাংসদ ফোন পেয়েছেন। তাদের জানানো হয়েছে যে তারা মন্ত্রী হচ্ছেন। আজই শপথ গ্রহণ। এমনটাই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।
বিজেপির সাংসদদের মধ্যে আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শপথ নিতে পারেন অমিত শাহ, রাজনাথ সিং ও নিতিন গড়করী। তাদের মন্ত্রকও পরিবর্তন হচ্ছে না। অর্থাৎ অমিত শাহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, রাজনাথ সিং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ও নিতিন গড়করী কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রীই থাকছেন। উত্তর-পূর্ব ভারতের দুই বিজেপি সাংসদ সর্বানন্দ সোনওয়াল ও কিরণ রিজিজু-ও বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের ফোন পেয়েছেন।
পশ্চিমবঙ্গের দুই বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও শান্তনু ঠাকুরের কাছেও ফোন এসেছে। তাঁরা আজই দিল্লিতে যাচ্ছেন। এমনটাই সূত্রের খবর।
অন্যদিকে, বিজেপির জোটসঙ্গীদের মধ্যে এলজেপি-র চিরাগ পাসওয়ান, জেডিএসের এইচডি কুমারস্বামী, আপনা দল (সোনেলাল)-র অনুপ্রিয়া পটেল, আরএলডি-র জয়ন্ত চৌধুরি, হিন্দুস্তানি আওয়ামি মোর্চার জিতন রাম মাঝির কাছেও মন্ত্রী হওয়ার ফোন এসেছে বলেই সূত্রের খবর।