নয়া দিল্লি: করোনা সংক্রমণ নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে কেন্দ্রের। তাই আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না কেন্দ্রীয় সরকার। এ বার প্রকাশ করা হল নয়া নির্দেশিকা, রয়েছে গাইডলাইন। ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে এই নির্দেশিকা। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এই নির্দেশিকা বলবত থাকবে। এ ক্ষেত্রে টেস্ট-ট্র্যাক-ট্রিট প্রোটোকলের ওপর জোর দেওয়ার কথা বলেছে সরকার।
দেশের একাধিক রাজ্যে করোনা সংক্রমণের হার বাড়ছে। গত পাঁচ মাসে সংখ্যাটা কমতে শুরু করেছিল। কিন্তু শেষ কয়ে দিনে সেই ছবিটা পাল্টে গিয়েছে। তাই দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের জন্য গাইডলাইন প্রকাশ করা হল মঙ্গলবার। নির্দেশিকায় প্রত্যেককে কোভিড বিধি মেনে চলার বার্তা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে প্রতিষেধক যাতে সবাই পায় সেই বিষয়টাতেও জোর দেওয়া হয়েছে। এর আগে ঠিক যেভাবে করোনা নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে, সেই পথেই হাঁটতে চলেছে কেন্দ্র।
টেস্ট-ট্র্যাক-ট্রিট প্রোটোকল
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যে সব রাজ্যে করোনা পরীক্ষার হার কম, সেখানে হার বাড়াতে হবে। পরীক্ষা করতে গিয়ে সংক্রমণ ধরা পড়লে সঙ্গে সঙ্গে আক্রান্তকে আইসোলেট করে চিকিৎসা শুরু করতে হবে। আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাঁদেরও আইসোলেট করতে হবে। আক্রান্তের এলাকাকে কনটেনমেন্ট জ়োন হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে এবং সেই কনটেনমেন্ট জ়োনের তালিকা জেলা কালেক্টরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।
কোভিড বিধি
সাধারণ মানুষ যাতে কোভিড বিধি মেনে চলে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে রাজ্য প্রশাসনকে। বিশেষত স্কুল কিংবা অফিসের মতো কাজের জায়গায় কোভিড বিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। মাস্ক পরা, হাত পরিষ্কার করা বা সামাজিক দূরত্ব মেনে না চললে জরিমানা নেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
তবে দুই রাজ্যের মধ্যে যাতায়াতে কোনও বাধা থাকবে না। কনটেনমেন্ট জ়োনের বইরে সব কাজই হবে স্বাভাবিকভাবে। এ ছাড়া সব রাজ্যে ভ্যাকসিন বা প্রতিষেধক দেওয়ার ক্ষেত্রে গতি আনার কথাও বলেছে কেন্দ্র।