হাসান: খাবারের খোঁজে প্রায়সময়ই লোকালয়ে ঢুকে উৎপাত করে হনুমানেরা। ‘উচিত শিক্ষা’ দিতে তাই বিষ খাইয়ে মেরে ফেলা হল কমপক্ষে ৩০টি হনুমানকে। তবে এখানেই শেষ নয়, কমপক্ষে ২০টি হনুমানকে বস্তায় ভরে বেধড়ক মারধরও করা হয়। এমনই নৃশংস ঘটনার সাক্ষী থাকল কর্নাটকের হাসান জেলা।
হাসানের চৌদানাহাল্লি গ্রামের রাস্তার ধারে বৃহস্পতিবার ভোরবেলায় একাধিক মুখ বন্ধ বস্তা পড়ে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হওয়াতেই তাঁরা বস্তাগুলি খোলেন। দেখতে পান, ভিতরে ভরা রয়েছে একাধিক হনুমানের মৃতদেহ। বস্তা থেকে মোট ৩০টি হনুমানের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ২০টি হনুমানকে। স্থানীয় বাসিন্দাদের শুশ্রষার পর ১৮টি হনুমান জঙ্গলে ফিরে গেলেও দুটি হনুমানকে স্থানীয় পশুচিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তারা আপাতত বিপদমুক্ত বলেই জানা গিয়েছে।
In an absolutely heinous act, more than 60 monkeys were poisoned, tied in bags and thrown on Sakleshpur Begur Crossroad in Hassan District, Karnataka. @moefcc @byadavbjp @aranya_kfd @CMofKarnataka pic.twitter.com/VqHv0Oew8v
— Randeep Hooda (@RandeepHooda) July 29, 2021
৩০টি হনুমানের মৃতদেহ উদ্ধারের পরই পুলিশ ও বন দফতরে খবর দেন গ্রামবাসীরা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, কিছু অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরাই হনুমানগুলিকে বিষ খাওয়ায় এবং তারপর বস্তার মধ্যে ভরে মারধর করে। ৫০টি হনুমানকে মৃত ভেবেই তারা রাস্তার ধারে ফেলে দেয়। ৩০টি হনুমানের মৃত্যু হলেও বাকি ২০টি হনুমান কোনওমতে বেঁচে যায়।
বেলুড় রেঞ্জের অ্য়াসিসটেন্ট কনসার্ভেটর প্রভু, রেঞ্জ অফিসার ইয়সমা মাচাম্মা ও ডঃ গুরুরাজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তারা জানান, মৃত হনুমানগুলির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠানো হয়েছে। বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে না অন্য কোনও রোগে, তা রিপোর্ট পাওয়ার পরই নিশ্চিতভাবে জানা যাবে। ইতিমধ্যেই সোশ্য়াল মিডিয়াতেও ভাইরাল হয়েছে গোটা ঘটনাটি এবং পশুপ্রেমীরা দ্রুত তদন্তের ও অপরাধীদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। আরও পড়ুন: ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে, টিকাকরণে নজর দিন’, কেরলে সংক্রমণ নিয়ে জবাব স্বাস্থ্যমন্ত্রীর