‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে, টিকাকরণে নজর দিন’, কেরলে সংক্রমণ নিয়ে জবাব স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
কেরলে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২০ হাজার ৭৭২ জন। বিগত চারদিন ধরেই আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজারের উপরে রয়েছে।
তিরুবনন্তপুরম: দেশের দৈনিক সংক্রমণের ৫০ শতাংশেরই খোঁজ মিলছে কেরল থেকে, তবুও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে বলে দাবি কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জের। শুক্রবার সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “রাজ্যে এখনও ৫০ শতাংশ মানুষ সংক্রমিত হননি। একাধিক বিষয়কে মাথায় রেখে বর্তমান পরিস্থিতিতে যে হারে সংক্রমণ হচ্ছে, তা আশ্চর্যজনক কিছু নয়। বরং পরিকল্পিতভাবে করোনা মোকাবিলার জন্যই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”
দৈনিক ২০ হাজারেরও বেশি কেরলবাসী করোনা আক্রান্ত হওয়ায় শুক্রবারই কেন্দ্রের তরফে কেরলে বিশেষ একটি দল পাঠানো হয়েছে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য। যদিও রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মত, আক্রান্তের সংখ্যার বদলে করোনা টিকাকরণের সংখ্যার দিকে নজর দেওয়া উচিত। কারণ রাজ্যে দ্রুত করোনা টিকা শেষ হতে চলেছে।
তিনি বলেন, “কেরলে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। কীভাবে বুধবেন? হাসপাতালে রোগীসংখ্যাই দেখুন। হাসপাতালে রোগী সংখ্যা যেমন কম, তেমনই আইসিইউ বেড বা অক্সিজেনের অভাবও নেই। এর অর্থই সংক্রমণের ভয়াবহতা আগের মতো নেই।”
কয়েক সপ্তাহ আগেও আসা কেন্দ্রীয় দলের সফরের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ওনারা বিভিন্ন জেলার নানা জায়গায় গিয়েছিলেন, বিভিন্ন হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন। সেই সময়ও ওনারা জানিয়েছিলেন যেভাবে সরকারের নির্দেশিকা মেনে আমরা ব্য়বস্থাপনা করেছি, তাতে কারা সন্তুষ্ট।” তিনি জানান, বহু ভাইরোলজিস্ট-বিশেষজ্ঞরাই জানিয়েছেন, এটি সংক্রমণের “মালভূমির মতো” গঠন, যেখানে সংক্রমণ বাড়লেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে।
কেরলে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২০ হাজার ৭৭২ জন। বিগত চারদিন ধরেই আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজারের উপরে রয়েছে। টেস্ট পজেটিভিটি রেট ১৩.৬১ শতাংশ। দেশের মোট সংক্রমণের ৫০ শতাংশই কেরল থেকে হচ্ছে। সক্রিয় রোগীর ৪০ শতাংশও কেরলের বসিন্দা। যদিও সেখানে মৃত্য়ু হার দেশের গড় মৃত্য়ু হারের তুলনায় অনেকটাই কম। সম্প্রতি আইসিএমআরের সেরো সমীক্ষাতেও দেখা যায়, কেরলের অধিকাংশ মানুষই এখনও করোনার সংস্পর্শে আসেননি।
অন্যদিকে, টিকাকরণের দিক থেকেও এগিয়ে রয়েছে কেরল। রাজ্যের ১৭ শতাংশ জনগণই টিকা পেয়েছেন, যেখানে দেশের হিসাবে মাত্র ৭ শতাংশ টিকা পেয়েছেন। এই বিষয়ে স্বাস্থ্য়মন্ত্রী বীণা জর্জ বলেন, “দু’দিন আগেই আমাদের টিকার ভাড়ার সম্পূর্ণ খালি হয়ে গিয়েছিল। কেন্দ্রের তরফে নয় লক্ষ টিকা পাঠানো হয়েছে। আবার কালই টিকা শেষ হয়ে যাবে। যদি টিকা না পাওয়া যায়, তবে পরশু থেকে টিকাকরণ বন্ধ রাখতে হবে। চারদিন আগেই আমরা একটি ৪.৯ লক্ষ মানুষকে টিকা দিয়েছি।” উল্লেখ্য, গতকাল কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও জানান, পর্যাপ্ত পরিমাণ টিকা থাকলে কেরল একমাসেই এক কোটি মানুষতে করোনা টিকা দিতে পারবে। আরও পড়ুন: বায়ুসেনা ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় জড়িত কারা? খুঁজতে উপত্যকা জুড়ে তল্লাশি অভিযান এনআইএ-র