ভারতের বিরাট গেম প্ল্যান, ২০২৮ সালের পরিকল্পনা শুনে চিন-পাকিস্তান-বাংলাদেশের ঘুম উড়েছে এখনই
Defence Plan: মোদী সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, বিদেশ থেকে যুদ্ধবিমান কেনা নয়, দেশেই পঞ্চম অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান তৈরি করবে হ্যালের মতো সংস্থা। সঙ্গে প্রতিরক্ষায় বেসরকারি লগ্নির দরজাও খুলে দেওয়া হবে। সিদ্ধান্ত হয়েছিল ২০১৮ সালে।
নয়া দিল্লি: ইসরো মহাকাশে একের পর এক কামাল দেখায়। ডিআরডিও অগ্নি ফাইভের মতো মিসাইল তৈরি করে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওশান টেকনোলজি বা NIOT সমুদ্রের গভীরে মিশনে প্রস্তুতি নেয়। দুনিয়ার মাত্র ৬থেকে ৭টি দেশ একসঙ্গে এতকিছু চমক দেখানোর ক্ষমতা রাখে। ভারত সেই সুপার সিক্স বা সেভেনে ঢুকে পড়েছে অনেকদিন। উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশের ক্যাটেগরিতে ঢোকার দৌড় শুরু করেছে। এতকিছু যখন হচ্ছে, তখন প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উত্পাদনে অন্য ছবি কেন?
যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন, অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানের কথা হয়েছে। এই দুই জায়গাতেই ভারত ঢের, ঢের পিছিয়ে। কেন পিছিয়ে? সেই লাখ টাকার প্রশ্নটারই উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছি। ইউপিএ ওয়ান জমানায় ১২৬ টি রাফাল কেনা নিয়ে কথাবার্তা শুরু হয়েছিল। সেটা ২০০৬ সাল। অথচ ইউপিএ- আমলে বাকি ৮ বছরে কিছুই হল না। ২০১৬ সালে মাত্র ৩৬টি রাফাল কেনার চুক্তি হল।
তখন ঠিক ছিল, ৩৬টি রাফাল হাতে আসার পর আরও ১১৪টি যুদ্ধবিমান কেনা হবে বা দেশেই তৈরি হবে। সঙ্গে তেজসের উন্নত যুদ্ধবিমানের উত্পাদন বাড়ানো হবে। সব মিলিয়ে ২০২৮ সালের মধ্যে ভারতের ভাঁড়ারে ৪২ স্কোয়াড্রন যুদ্ধবিমান-ই থাকবে। সেই সিদ্ধান্ত কিছু উল্টেপাল্টে যায়নি।
মোদী সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, বিদেশ থেকে যুদ্ধবিমান কেনা নয়, দেশেই পঞ্চম অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান তৈরি করবে হ্যালের মতো সংস্থা। সঙ্গে প্রতিরক্ষায় বেসরকারি লগ্নির দরজাও খুলে দেওয়া হবে। সিদ্ধান্ত হয়েছিল ২০১৮ সালে। তার খুঁটিনাটি করতে লেগে যায় ৫ থেকে ৬ বছর। এর মধ্যে নতুন কোনও যুদ্ধবিমান কেনা হবে না বলেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল।
ভারতে যুদ্ধবিমান তৈরি করব বললেই সেটা করা সম্ভব নয়। অনেক লম্বা সময় প্রয়োজন। আর তাই স্টমগ্যাপ হিসাবে বিকল্প যুদ্ধবিমানের কথা ভাবতে হবে। বিদেশি যুদ্ধবিমানের বদলে ভারতের নিজস্ব প্রকল্প অর্থাত্ অ্যামকাতেই জোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
এই মুহুর্তে সিক্সথ জেনারেশন যুদ্ধবিমান তৈরির কাজ লাগাচ্ছে দুটি গ্রুপ। একটা গ্রুপে আছে ইটালি, জার্মানি ও স্পেনের জোট। এর পোশাকি নাম ফিউচার কমব্যাট এয়ার সিস্টেম অ্যালায়েন্স বা FCAS. অন্য গ্রুপটায় আছে ব্রিটেন, জাপান, ইটালি। এদের গ্রুপের নাম গ্লোবাল কমব্যাট এয়ার কমব্যাট বা GCAP. টার্গেট – ২০৩০ সালের মধ্যে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান তৈরি।
দুটো গ্রুপই ভারতকে প্রকল্পে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব পাঠিয়েছে। ইউরোপের বাইরে শুধু ভারতই এই প্রস্তাব পেয়েছে। তবে যতটা খবর পাচ্ছি, ভারত কোনও গ্রুপেই যোগ দেবে না বলে ঠিক করে ফেলেছে। কেন্দ্র আপাতত সিদ্ধান্তে অনড়। আগে অ্যামকা। বাকি সব তারপর। অ্যামকা অর্থাত্ অ্যাডভান্স মিডিয়াম কমব্যাট এয়ারক্রাফট। মুশকিল হলো, অ্যামকা থেকে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান হাতে পেতে আরও ১১ থেকে ১২ বছর লাগবে।