India-China: ফের মাঠে নামলেন অজিত দোভাল, ভারতের অস্ত্রভাণ্ডার ভরাতে ফের আমেরিকার সঙ্গে কথা
India-China Relation: নিজেদের দিক থেকে কোনও খামতি রাখা যাবে না। চিন সীমান্তে কখনও হাত গুটিয়ে বসে থাকার মতো পরিস্থিতিতে থাকে না ভারত। সারাক্ষণই সতর্ক। এর মাঝেই প্রশ্ন, ভারত-চিন সমঝোতার পর আদৌ কতটা উন্নতি হল?
বিশ্বাস বড় কঠিন শব্দ। কাকে যে বিশ্বাস করা যায়, আর কাকে যায় না, বোঝা দায়। ভারতের সঙ্গে চিনের সম্পর্কও তাই। একদিকে শান্তির বার্তা, নানা সমঝোতা, কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তার প্রভাব সামান্যই দেখা যায়। চিনের উপর ভরসা করা যে আরও জটিল, বলাই যায়। আর সে কারণেই, যতই সমঝোতা হোক না কেন, নিজের ঘর সামলানোই প্রথম টার্গেট ভারতের। নিজেদের দিক থেকে কোনও খামতি রাখা যাবে না। চিন সীমান্তে কখনও হাত গুটিয়ে বসে থাকার মতো পরিস্থিতিতে থাকে না ভারত। সারাক্ষণই সতর্ক। এর মাঝেই প্রশ্ন, ভারত-চিন সমঝোতার পর আদৌ কতটা উন্নতি হল?
রিপোর্টটা হাতে নিয়েই কি ভারতের জাতীয় উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠকে ঢুকেছিলেন জ্যাক সুলিভ্যান? হয়তো নয়! হতে পারে রিপোর্টটা আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার স্মার্ট ফোনেই ছিল! দোভালের সঙ্গে সুলিভ্যানের বৈঠকের একটা বড় সময় খরচ হয়েছে এই রিপোর্ট নিয়ে আলোচনায়। কোন রিপোর্ট? কী আছে তাতে? লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলে এখন কী পরিস্থিতি? ভারত-চিন সমঝোতার পর অবস্থার কতটা উন্নতি হলো? এসব নিয়েই মার্কিন প্রতিরক্ষা সংস্থা পেন্টাগনের রিপোর্ট।
এলএসি-র দুই দিকে মূলত উপগ্রহ চিত্র বিশ্লেষণ করে রিপোর্টটা তৈরি করেছে পেন্টাগন। আর উপগ্রহ চিত্রে দেখা যাচ্ছে, গালওয়ান সংঘর্ষের পর থেকে চিন এলএসি-তে ব্যাপক নির্মাণকাজ শুরু করেছিল। গত সাড়ে ৪ বছরে বহু বৈঠকের পরও চিনের নির্মাণ থামেনি। অস্থায়ী ছাউনি, অস্ত্রাগার, বাঙ্কার, দূর্গম এলাকায় রাস্তা, ট্যাঙ্ক ডেপলয়মেন্ট ইউনিট। এমনকি অস্থায়ী রানওয়ে তৈরি করে ফেলেছে পিপলস লিবারেশন আর্মি। এলএসি-তে থাকা পিএলএ-র বিভিন্ন ইউনিটের মধ্যে সমন্বয় রাখতে কমন সাপ্লাই সেন্টারও পুরোপুরি তৈরি হয়ে গিয়েছে।
তৈরি হয়েছে জ্বালানি, তেলের ডিপো, দমকলের ইউনিট। পেন্টাগনের অনুমান এই মুহূর্তে এলএসি-তে কমবেশি ১ লক্ষ ২০ হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে। প্রয়োজনে তা বাড়িয়ে ৪ লাখে নিয়ে যাওয়ার রাস্তাও খুলে রেখেছে চিন। আরও খবর, ভারতকে এ নিয়ে সতর্ক করেছেন মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা। অজিত দোভাল কী উত্তর দিয়েছেন, তা জানা যায়নি। তবে একটা কথা বলা যায়, আর যাই হোক চিনকে বিশ্বাস করে হাত -পা গুটিয়ে চুপচাপ বসে নেই ভারতও। পূর্ব লাদাখে সমঝোতা হওয়ার পরেও না। চিনকে বিশ্বাসের প্রশ্নই ওঠে না। ভারত সেটা জানে আর জানে বলেই এখনও এলএসি থেকে একজন সেনাকেও সরিয়ে নেয়নি।