HMPV Break Out: কী ভাবে জানা গেল চিনে ছড়িয়ে পড়েছে হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস?

HMPV Break Out: চিনে যে হিউম্যান মেটানিউমো-ভাইরাসই খেল দেখাচ্ছে, সেটা জানা গেল কীভাবে? রয়টার্সের দাবি, ডিসেম্বের প্রথম সপ্তাহ থেকে চিনের ৫টি ল্যাবে আক্রান্তদের নমুনা পরীক্ষা হয়।

HMPV Break Out: কী ভাবে জানা গেল চিনে ছড়িয়ে পড়েছে হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস?
Follow Us:
| Updated on: Jan 11, 2025 | 12:15 PM

হাসপাতালে হাসপাতালে লম্বা লাইন, চিকিত্‍সকের চেম্বারে ভিড়, রাস্তা – বাজার দোকানে কোভিড নির্দেশিকা। কোভিডের সময় যেমন গোটা দেশটাই ভুতুড়ে দেশে পরিণত হয়েছিল, ঠিক যেন সেই ছবি। সোশ্যাল মিডিয়ায় হাসপাতালের বাইকে ডেডবডি পড়ে থাকার ভিডিও-ও দেখা যাচ্ছে। টিভি নাইন বা অন্য কোনও সংবাদমাধ্যম এই ছবিগুলোর সত্যতা যাচাই করেনি। সোশাল মিডিয়া অ্যানালিসস সংস্থাগুলোর দাবি, ছবিগুলো টাটকা। সাম্প্রতিক সময়ে তোলা।

নতুন ভিলেনের নাম এইচএমপিভি। এরই মধ্যে ন্যাশনাল বিজনেস ডেইলির প্রতিবেদনে আগুনে ঘি পড়ার মতো অবস্থা। চিনের ন্যাশনাল ভাইরাল ডিজিজ সেন্টারের প্রধানের ইন্টারভিউ। ইন্টারভিউতে তিনটি বিষয় উঠে আসে।

এক, হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাসের লক্ষ্মণ মিললে বাড়িতেই চিকিত্‍সা করতে হবে। দুই, নিউমোনিয়া কিংবা বুকে যন্ত্রণা বাড়লে স্থানীয় হেলথ ক্লিনিকে চিকিত্‍সা করতে হবে। প্রথমেই হাসপাতালে আসার দরকার নেই। তিন, ভাইরাস প্রতিরোধে মুঠো মুঠো অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। সেটা করলে লাভের থেকে ক্ষতিই বেশি।

চিনে যে হিউম্যান মেটানিউমো-ভাইরাসই খেল দেখাচ্ছে, সেটা জানা গেল কীভাবে? রয়টার্সের দাবি, ডিসেম্বের প্রথম সপ্তাহ থেকে চিনের ৫টি ল্যাবে আক্রান্তদের নমুনা পরীক্ষা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হিউম্যান মেটানিউমো-ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে। কিন্তু শি জিনপিং প্রশাসন এই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। আন্তর্জাতিক মিডিয়ার একটি অংশের দাবি, গত ৭ দিনে চিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ লক্ষ ছাড়িয়েছে। চিনে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে কি না তা নিয়েও জল্পনা তুঙ্গে। তবে দেশটার নাম চিন। কোভিডের সময় যেভাবে সব চেপেচুপে রাখা হয়েছিল, এবারও সেটাই হচ্ছে?

এইচএমপিভি ভাইরাসের লক্ষ্ণণ কী? প্রাথমিকভাবে যতটা জানা যাচ্ছে, নাক দিয়ে জল পড়া, জ্বর, গায়ে ব্যথা, গলায় যন্ত্রণা হচ্ছে। সঙ্গে হাতে-পায়ে খিঁচুনি। তবে ভাইরাসটা বিপজ্জনক, প্রাণঘাতীও হতে পারে। শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। যাঁদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদেরও বড় বিপদের সম্ভাবনা। রয়টার্সের দাবি, চিন মুখে কিছু না বললেও এইচএমপিভি- প্রতিরোধে যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি নিচ্ছে। দেশের সব হাসপাতাল ও হেলথ ক্লিনিককে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। তবে সেখানে এইচএমপিভি-র কথা উল্লেখ নেই। খালি বলা হয়েছে, ফ্লু জাতীয় অসুখ নিয়ন্ত্রণে নতুন নির্দেশিকা মেনে চলা বাধ্যতামূলক।