গুয়াহাটি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে বার্তালাপের পরই দুই রাজ্যের মধ্যে সীমানা সমস্যা মেটানো নিয়ে নতুনভাবে আলোচনা শুরু করার কথা জানিয়েছিলেন মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা। অসমের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনের জন্য এ বার মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নামও বাদ দেওয়া হল এফআইআর থেকে। অন্যদিকে, অসম পুলিশকেও মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত নির্দেশ দিয়েছেন মিজোরামের রাজ্যসভার সাংসদ কে ভানলালভেনার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নিতে।
রবিবার সকালেই মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা জানান, তাঁর সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও অসমের মুখ্যমন্ত্রীর ফোনে কথা হয়েছে। দুই রাজ্যই আলোচনার মাধ্যমে বিরোধ মিটিয়ে নিতে রাজি। অসমের মুখ্যমন্ত্রী জবাবি টুইটে লেখেন, “উত্তর-পূর্ব ভারতের ঐতিহ্যকে জীবিত রাখা। সীমানায় যা হয়েছে, তা দুই রাজ্যের বাসিন্দাদের জন্যই দুঃখজনক ও অনস্বীকার্য। মিজেরামের মুখ্যমন্ত্রী তাঁর কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ শেষ হলেই আমার সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।”
দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে আলোচনার পরই মিজোরামের মুখ্যসচিব এল চুয়াঙ্গু জানান, তিনি ও মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা এফআইআরের বিষয়ে কিছুই জানতেন না। তিনি পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে কথা বলবেন। যদি কোনও আইনি প্রমাণ না থাকে, তবে অসমের মুখ্যমন্ত্রীর নাম বাদ দেওয়া হবে এফআইআর থেকে। এরপরই এ দিন সকালে জানা যায়, হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নাম বাদ দেওয়া হয়েছে এফআইআর থেকে।
অন্যদিকে, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাও জানান, মিজোরামের সাংসদ কে ভানলালভেনার বিরুদ্ধে এফআইআর প্রত্যাহার করা হচ্ছে। তবে বাকি পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে তদন্ত জারি থাকবে। সাংসদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারকে তিনি “সুসম্পর্ক বজায় রাখার একটি প্রচেষ্টা” বলে আখ্যা দিয়েছেন।
অসমের তরফে মিজোরামে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা জারি করা হলেও রবিবার মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা জানান, উত্তর-পূর্ব ভারত একটাই, তাই মিজোরাম থেকে কোলাসিব জেলা ধরে অসমে যাতায়াতের ক্ষেত্রে কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে না। আরও পড়ুন: অল্পের জন্য জুলাইয়ের লক্ষ্যমাত্রা ‘মিস’ করল কেন্দ্র, ডিসেম্বরে কি শেষ হবে দেশের প্রাপ্তবয়স্কদের টিকাকরণ?