নয়া দিল্লি : ‘আপনিই বলুন, আমি বসে পড়ছি’, তাঁর বক্তব্যের মাঝে কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury) উঠে দাঁড়াতেই এ কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। সোমবার সংসদে প্রায় ঘণ্টা দেড়েক ধরে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন মোদী। মূল্যবৃদ্ধি, বিভেদের রাজনীতি, কৃষক ইস্যু- একের পর এক গুরুগম্ভীর বিষয়ে ধারাল আক্রমণ শোনা যায় প্রধানমন্ত্রীর মুখে। সংসদে বিরোধীদের আচরণ নিয়েও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে ছাড়েননি মোদী। তবে তার মাঝেও, হাসতে হাসতে সামলালেন বিরোধীদের। কংগ্রেসকে খোঁচা দিতেই বারবার এ দিন জবাব দিতে উদ্যত হন অধীর। তাঁকে থামাতে যান লোকসভার অধ্যক্ষ আর কড়া আক্রমণের মাঝেও মোদী একেবারে ফুরফুরে মেজাজে। গায়েই মাখলেন না বিরোধিতা। যেন সহকর্মীর স্বাভাবিক কথোপকথন! হালকা সুরে বিঁধলেন তীব্র শ্লেষে।
মোদীর বক্তব্য শুরুর কয়েক মিনিট পরই চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ান অধীর চৌধুরী। কিছু বলতে গেলে তাঁকে থামিয়ে দেন অধ্যক্ষ। সঙ্গে সঙ্গে মোদী বসে পড়েন। অধীর থেমে গেলে, মোদী উঠে বলেন, ‘হয়ে গিয়েছে? এবার আমি বলব? আমি বসে পড়তে পারি।’ পরে অধীরের থেকে অনুমতি চাওয়ার ঢঙে হেসে বলেন, ‘আমি বলতে পারি?’ অধীর মাথা নাড়লে মোদী বলেন, ‘অনেক ধন্যবাদ। আপনার ভালোবাসা অমর থাকুক।’
সৌগত রায় বিরোধিতা করতে গেলেও সেই সহকর্মীসুলভ মজা করে, মোদী হেসে বলেন, ‘দাদাকে মাঝে মাঝে সময় দিন। উনি এই বয়সেও ছেলেবেলায় ফিরে যেতে চান।’
বিরোধীদের চেঁচামেচিতে কিছুক্ষণ পর আবারও বসে পড়তে হয়ে মোদীকে। আবারও অধ্যক্ষের বার্তা দেওয়ার পালা। আর তারপরই মোদী উঠে বলেন, ‘সংসদে একটু আধটু ঠোকাঠুকি তো চলতেই পারে। তাই বলে সীমা পার করে গেলে খারাপ লাগে, মনে হয় আমাদের সহকর্মীরা এরকম!’
আক্রমণে শান দিতে দিতেই কটাক্ষের সুর মোদীর গলায়। বহরমপুরের সাংসদকে মোদী যখন বলে উঠলেন, ‘আপনি কেন মোদী মোদী করছেন?’ কার্যত হেসেই ফেললেন অধীর। মোদী বললেন, ‘সবাই সারাক্ষণ মোদী মোদী করছেন কেন? সকালে উঠেই সবাই মোদী মোদী করতে শুরু করে দেন। আপনারা তো মোদীকে ছাড়া এক মুহূর্তও থাকতে পারেন না! মোদী আপনাদের প্রাণশক্তি দেয়।’ বিরোধী আসনেও তখন হাসির রোল।
দারিদ্র্য ইস্যু নিয়ে যখন মোদী কথা বলতে শুরু করেছেন, বিরোধী আসনে শুরু হৈচৈ। তখন আবারও মোদী হাসতে হাসতে বলেন, ‘তখনই চেঁচামেচি শুরু যখন, বুঝতে পারেন এবার আক্রমণ আসছে। যখন বুঝতে পারেন আমরা ফেঁসে গিয়েছি।’
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
নয়া দিল্লি : ‘আপনিই বলুন, আমি বসে পড়ছি’, তাঁর বক্তব্যের মাঝে কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury) উঠে দাঁড়াতেই এ কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। সোমবার সংসদে প্রায় ঘণ্টা দেড়েক ধরে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন মোদী। মূল্যবৃদ্ধি, বিভেদের রাজনীতি, কৃষক ইস্যু- একের পর এক গুরুগম্ভীর বিষয়ে ধারাল আক্রমণ শোনা যায় প্রধানমন্ত্রীর মুখে। সংসদে বিরোধীদের আচরণ নিয়েও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে ছাড়েননি মোদী। তবে তার মাঝেও, হাসতে হাসতে সামলালেন বিরোধীদের। কংগ্রেসকে খোঁচা দিতেই বারবার এ দিন জবাব দিতে উদ্যত হন অধীর। তাঁকে থামাতে যান লোকসভার অধ্যক্ষ আর কড়া আক্রমণের মাঝেও মোদী একেবারে ফুরফুরে মেজাজে। গায়েই মাখলেন না বিরোধিতা। যেন সহকর্মীর স্বাভাবিক কথোপকথন! হালকা সুরে বিঁধলেন তীব্র শ্লেষে।
মোদীর বক্তব্য শুরুর কয়েক মিনিট পরই চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ান অধীর চৌধুরী। কিছু বলতে গেলে তাঁকে থামিয়ে দেন অধ্যক্ষ। সঙ্গে সঙ্গে মোদী বসে পড়েন। অধীর থেমে গেলে, মোদী উঠে বলেন, ‘হয়ে গিয়েছে? এবার আমি বলব? আমি বসে পড়তে পারি।’ পরে অধীরের থেকে অনুমতি চাওয়ার ঢঙে হেসে বলেন, ‘আমি বলতে পারি?’ অধীর মাথা নাড়লে মোদী বলেন, ‘অনেক ধন্যবাদ। আপনার ভালোবাসা অমর থাকুক।’
সৌগত রায় বিরোধিতা করতে গেলেও সেই সহকর্মীসুলভ মজা করে, মোদী হেসে বলেন, ‘দাদাকে মাঝে মাঝে সময় দিন। উনি এই বয়সেও ছেলেবেলায় ফিরে যেতে চান।’
বিরোধীদের চেঁচামেচিতে কিছুক্ষণ পর আবারও বসে পড়তে হয়ে মোদীকে। আবারও অধ্যক্ষের বার্তা দেওয়ার পালা। আর তারপরই মোদী উঠে বলেন, ‘সংসদে একটু আধটু ঠোকাঠুকি তো চলতেই পারে। তাই বলে সীমা পার করে গেলে খারাপ লাগে, মনে হয় আমাদের সহকর্মীরা এরকম!’
আক্রমণে শান দিতে দিতেই কটাক্ষের সুর মোদীর গলায়। বহরমপুরের সাংসদকে মোদী যখন বলে উঠলেন, ‘আপনি কেন মোদী মোদী করছেন?’ কার্যত হেসেই ফেললেন অধীর। মোদী বললেন, ‘সবাই সারাক্ষণ মোদী মোদী করছেন কেন? সকালে উঠেই সবাই মোদী মোদী করতে শুরু করে দেন। আপনারা তো মোদীকে ছাড়া এক মুহূর্তও থাকতে পারেন না! মোদী আপনাদের প্রাণশক্তি দেয়।’ বিরোধী আসনেও তখন হাসির রোল।
দারিদ্র্য ইস্যু নিয়ে যখন মোদী কথা বলতে শুরু করেছেন, বিরোধী আসনে শুরু হৈচৈ। তখন আবারও মোদী হাসতে হাসতে বলেন, ‘তখনই চেঁচামেচি শুরু যখন, বুঝতে পারেন এবার আক্রমণ আসছে। যখন বুঝতে পারেন আমরা ফেঁসে গিয়েছি।’