AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘ফরেন ডেস্ট্রাক্টিভ ইডিওলজি’, গ্রেটাদের বিঁধতে মোদীর FDI-স্ট্রাইক

নয়া দিল্লি: কৃষক আন্দোলন ৭০ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। আপাতদৃষ্টিতে আন্দোলনের ছবি শুধুমাত্র রাজধানীর রাস্তায় দেখা গেলেও তার আঁচ ছড়িয়েছে সর্বত্র। তবে সেই কৃষক আন্দোলন যে এভাবে বিদেশি সেলেব্রিটিদের সমর্থন পাবে, তা বোধ হয় আশা করেনি মোদী সরকার। গত সপ্তাহেই সাড়া ফেলে দিয়েছে রিহানা, গ্রেটা থুনবার্গের টুইট। সেই প্রসঙ্গে এবার সংসদে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। […]

'ফরেন ডেস্ট্রাক্টিভ ইডিওলজি', গ্রেটাদের বিঁধতে মোদীর FDI-স্ট্রাইক
| Edited By: | Updated on: Feb 08, 2021 | 3:53 PM
Share

নয়া দিল্লি: কৃষক আন্দোলন ৭০ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। আপাতদৃষ্টিতে আন্দোলনের ছবি শুধুমাত্র রাজধানীর রাস্তায় দেখা গেলেও তার আঁচ ছড়িয়েছে সর্বত্র। তবে সেই কৃষক আন্দোলন যে এভাবে বিদেশি সেলেব্রিটিদের সমর্থন পাবে, তা বোধ হয় আশা করেনি মোদী সরকার। গত সপ্তাহেই সাড়া ফেলে দিয়েছে রিহানা, গ্রেটা থুনবার্গের টুইট। সেই প্রসঙ্গে এবার সংসদে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

কিছুদিন আগেই ভারতের কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে টুইট করেছিলেন পপ তারকা রিহানা। মুখ খোলেন আন্তর্জাতিক আবহাওয়া আন্দোলনের মুখ গ্রেটাও। স্বাভাবিকভাবেই আন্দোলনকারীদের পক্ষে সমর্থন বেশ কিছুটা জোরালো হয়। তাঁদের হাতে দেখা যায় গ্রেটা , রিহানাদের ছবি।

আরও পড়ুন: চড়চড় করে বাড়ছে ব্লাড সুগার? মেনে চলুন সহজ কয়েকটি নিয়ম, নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস

সোমবার রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোদী FDI শব্দের ‘জাগলারি’ করে সে সব বিদেশি সমর্থকদের উদ্দাশে কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন। বলেন, “দেশের অগ্রগ্রতি হচ্ছে, আর আমরাও FDI নিয়ে কথা বলছি। কিন্তু এই মুহূর্তে দেশে এক নতুন FDI দেখতে পাচ্ছি।” আন্দোলনে বিদেশি প্রভাবের বিরুদ্ধে মুখ খুলে মোদী বলেন, “আমাদের ‘ফরেন ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট’ প্রয়োজন, কিন্তু ‘ফরেন ডেস্ট্রাক্টিভ ইডিওলজি’র দরকার নেই।” রিহানাকে দিয়ে শুরু হলেও পরে অনেক বিদেশি তারকাই কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করেন। যার মধ্যে রয়েছেন কমলা হ্যারিসের আত্মীয়া মীনা হ্যারিস, মিয়া খলিফা-সহ অনেকে।

আরও পড়ুন: কেদারনাথের পুনরাবৃত্তি? হিমবাহ ভেঙে প্লাবিত যোশীমঠ

সেই সঙ্গে এদিন মোদী আরও বলেন, “দেশে এক নতুন শ্রেণির উদ্ভব হয়েছে, ‘আন্দোলনজীবী’, যাদের নাকি সব আন্দোলনেই দেখা যায়। মোদীর কথায়, সেই ধরনের মানুষ আসলে ‘পরজীবী’, এদের নিজেদের কোনও শক্তি নেই, এরা শুধুই সব আন্দোলনে যোগ দিতে আসে।”

আগেই অবশ্য রিহানা এবং গ্রেটা থুনবার্গদের টুইটে প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রক। বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছিল, এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী নিজেদের অ্যাজেন্ডা চালানোর জন্য এই ধরনের আন্দোলনকে ইন্ধন জোগাচ্ছে। এ ছাড়া কেন্দ্রের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, দেশের অল্প শতাংশ কৃষকই এই আইনগুলির বিরোধিতা করছেন এবং বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন। তাই সঠিক তথ্য যাচাই করে বিক্ষোভের বিষয়টি জানার পরই এ নিয়ে মন্তব্য করা উচিত বলে উল্লেখ করেছিল বিদেশ মন্ত্রক।