চড়চড় করে বাড়ছে ব্লাড সুগার? মেনে চলুন সহজ কয়েকটি নিয়ম, নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস

নিয়মে থাকলেই ব্লাড সুগার বা ডায়াবেটিসের লেভেল ঠিক থাকবে। 

চড়চড় করে বাড়ছে ব্লাড সুগার? মেনে চলুন সহজ কয়েকটি নিয়ম, নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস
অনিয়ম এবং উশৃঙ্খল জীবনযাপন ডায়াবেটিস হওয়ার অন্যতম কারণ।
Follow Us:
| Updated on: Feb 08, 2021 | 1:36 PM

অনেকের মধ্যেই একটা ধারনা রয়েছে যে অতিরিক্ত চিনি বা চিনিজাতীয় খাবার, মিষ্টি এসব খেলেই ব্লাড সুগারের মাত্রা চড়চড় করে বাড়তে থাকে। তবে আদতে বিষয়টা তেমন নয় মোটেও। বরং অনিয়ম এবং উশৃঙ্খল জীবনযাপন ডায়াবেটিস হওয়ার অন্যতম কারণ। তাই ব্লাড সুগারের মাত্রা সঠিকভাবে বজায় রাখতে হলে জীবনযাপনে পরিবর্তন আনতে হবে। অনিয়ম এবং উশৃঙ্খলতা, এই দুটো শব্দ জীবন থেকে একেবারেই বাদ দিয়ে ফেলুন। নিয়মে থাকলেই ব্লাড সুগার বা ডায়াবেটিসের লেভেল ঠিক থাকবে।

কী কী করবেন?

প্রতিদিনের নিয়মে সামান্য কিছু পরিবর্তন আনলেই সমস্যার সুরাহা হবে অনেকাংশে। তবে শরীরের অবস্থা বুঝে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

১। সঠিক জিনিসগুলো খেতে হবে। সঠিক সময়ে খাওয়াদাওয়া করতে হবে। এছাড়াও পর্যাপ্ত ঘুমোতে হবে। তাহলেই অনেকাংশে সমাধান হবে সমস্যার। এর পাশাপাশি ডাক্তার খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রে যেসমস্ত বিধিনিষেধ দিয়েছেন সেগুলো অতি অবশ্যই মেনে চলতে হবে। প্রয়োজনীয় ওষুধপত্রও নিয়মিত খেতে হবে।

২। যখন খিদে পাবে তখন পেট খালি রাখবেন না। খাবার খেয়ে নিন। তবে কখনই ওভার ইটিং বা আপনার যতটা প্রয়োজন তার থেকে বেশি খাবার খাবেন না। কার্বোহাইড্রেট খান, কিন্তু পরিমিত ভাবে। অতি অবশ্যই প্রসেসড খাবার এবং ভাজাভুজি বা বেক করা খাবার থেকে দূরে থাকুন। বিস্কুট, কুকিজ, মাফিন এগুলো এড়িয়ে চলতে পারলেই ভাল। যাঁদের ব্লাড সুগার লেভেল হাই তাঁরা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাবারে ফ্যাটের পরিমাণ কিছুটা কমিয়ে দিন। কারণ শরীরে ফ্যাটের পরিমাণ যত বেশি হবে, সুগার বা কার্বোহাইড্রেট হজম করতে বেশি সময় লাগবে। তবে ঘি, বাদাম এবং বিভিন্ন বীজ (সিড) খেতে পারেন। তবে সবই পরিমিত ভাবে খান।

৩। প্রতিদিন নিয়ম করে শরীরচর্চা করুন। উপকার পাবেনই। শুধু ডায়াবেটিস নয়, আরও অনেক ক্ষেত্রেই সমস্যার সুরাহা হয় নিয়মিত শরীরচর্চা করলে। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। কারণ আপনার শরীর কতটা পরিশ্রম-ধকল নিতে পারবে সেটা বুঝে শরীরচর্চা করা প্রয়োজন। নয়তো হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

৪। পর্যাপ্ত ঘুম অবশ্যই প্রয়োজন। দিনে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। এর পাশাপাশি প্রতিদিন মোটামুটি একই সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস থাকা উচিত। নয়তো স্লিপিং সাইকেলে ব্যাঘাত ঘটবে। যার ফলে শরীরে একাধিক সমস্যা তো দেখা দেবেই। পাশাপাশি বাড়তে পারে ব্লাড সুগার লেভেল। আপনার বডি ক্লকে সময়ের বেশি মাত্রায় এদিক-ওদিক হলেই বাড়তে পারে ডায়াবেটিসের লেভেল।