নয়া দিল্লি: প্রবল ঠাণ্ডার প্রকোপ থেকে সন্তানদের বাঁচাতেই ঘরের ভিতর জ্বালিয়ে রেখেছিলেন উনুুন(Stove), কিন্তু সেই আঁচই যে বিপদ ডেকে আনবে, তা বুঝতে পারেননি মা। ঘর থেকে কালো ধোঁয়া বের হতে দেখেই পুলিশে খবর দিয়েছিলেন প্রতিবেশীরা। দরজা ভেঙে দেখা গেল মায়ের পাশেই শুয়ে রয়েছে ফুটফুটে চার সন্তান। শরীর সম্পূর্ণ নিস্তেজ। বুধবারা রাতে উনুনের বিষাক্ত ধোঁয়ায় (Toxic Smoke) মৃত্যু হল চার সন্তান সহ মায়ের। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লি(Delhi)-র শাহদারার সীমাপুরী এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাত দেড়টা নাগাদ পিসিআরে ফোন আসে। জানানো হয়, শাহদারার সীমাপুরী এলাকায় একটি বাড়িতে চার-পাঁচজনকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। দেখা যায়, বাড়ির পাঁচতলায় একটি ঘরে এক মহিলা ও চারটি শিশু সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। পরীক্ষা করে দেখা যায়, ওই মহিলা ও তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বাকি দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও, চিকিৎসকরা তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদের মধ্যে একজনের বয়স কয়েক মাস বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, ওই ফ্ল্যাটের পাঁচতলায় মোহিত কালিয়া (৩৫) নামক এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রী রাধা ও চার সন্তানকে নিয়ে থাকতেন। দুর্ঘটনার সময় মোহিত বাড়িতে ছিলেন না। প্রবল ঠাণ্ডার হাত থেকে বাঁচতেই তাঁর স্ত্রী রাধা উনুন জ্বালিয়ে রেখেছিল। কিন্তু ঘরের মধ্যে হাওয়া চলাচলের কোনও ব্যবস্থা না থাকায়, ধীরে ধীরে কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস তৈরি হতে থাকে। ওই বিষাক্ত বাতাসেই চার শিশু সহ ওই মহিলার মৃত্যু হয়। ফ্ল্যাটটি অমরপাল সিং (৬০) নামক এক ব্যক্তির নামে রয়েছে বলে জানান পুলিশের ডেপুটি কমিশনার আর সত্যসুন্দরম।
পুলিশেক তরফে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে বিষাক্ত গ্যাসে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হয়েছে। দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।