ভোপাল: স্থানীয় মুদিখানার দোকানে বাজার করতে গিয়েছিলেন এক বিবাহিত মহিলা। দোকানে জিনিসপত্র কেনার পর তিনি দেখেন কিছু টাকা কম রয়েছে তাঁর কাছে। দোকানি ধার না দেওয়ায় ফাঁপরে পড়েন ওই মহিলা। যা টাকা আছে, তত টাকার মাল নেওয়ার চিন্তা যখন করছেন, তখনই এগিয়ে আসেন এক ব্যক্তি। তিনি ওই মহিলাকে ৬০০ টাকা ধার দিয়েছিলেন। ওই মহিলা দিন কয়েক পর সেই টাকা ফেরত দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু এর এক দিন পরই ওই ব্যক্তি মত্ত অবস্থায় ওই মহিলার বাড়িতে আসেন বলে অভিযোগ। জোর করে বাড়িতে ঢুকে টাকা দাবি করতে থাকেন। ওই মহিলা সে সময় টাকা মেটানোর জন্য সময় চেয়েছিলেন। তার পরই ওই ব্যক্তি ওই মহিলাকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। ধর্ষণের পর শারীরিক সম্পর্কের জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তি নির্যাতিতা মহিলাকে চাপ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এর পর পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে মধ্য প্রদেশের ভোপালে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি নির্যাতিতার বাড়ির কাছেই থাকেন। ২ জানুয়ারি ২৬ বছরের ওই মহিলা বাজার করতে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। সে সময় ওই দোকানে ছিলেন অভিযুক্ত। মহিলার টাকা কম পড়ছে দেখে তিনি ৬০০ টাকা ধার দিয়েছিলেন। পরে সেই টাকা শোধ করার কথা বলেছিলেন। সেই ৬০০ টাকা ধার নিয়ে যে এ রকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারে তা বোধহয় কল্পনাতেও আনেননি ওই মহিলা।
এই টাকা ধারের দিন দুয়েক পরই অভিযুক্ত মত্ত অবস্থায় মহিলার ঘরে ঢুকে টাকা দাবি করতে থাকেন বলে। তা না দিতে পারায় মহিলাকে ওই ব্যক্তি ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের কথা কাউকে না বলার জন্যও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এর পর অভিযুক্ত একাধিক বার নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়েছে বলে অভিযোগ। শারীরিক সম্পর্ক না করতে তাঁর স্বামীকে বলে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। এর পরই সাহস সঞ্চয় করে পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির কয়েকটি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তও শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।