নয়া দিল্লি: সঙ্কটে আছে পৃথিবী। কতদিন এই অস্থিরতা চলবে, তা বলা মুশকিল। বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি), ‘ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ’-এর ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধন করে এমনটাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে, এই অবস্থার মধ্যেও তিনি আশাবাদী যে গ্লোবাল সাউথের দেশগুলির সুসময় আসন্ন। গ্লোবাল সাউথের হাতেই থাকবে ভবিষ্যতের চাবিকাঠি। তিনি বলেন, “এই সময় প্রয়োজন আমাদের সমাজ এবং অর্থনীতিকে বদলে দিতে পারে এমন সরল, কার্যকর, স্থিতিশীল সমাধান খুঁজে বের করা।” আর এর জন্য তিনি গ্লোবাল সাউথের নেতাদের মতামত জানতে চেয়েছেন। তিনি বলেন, “ভারতে একটি শ্লোক রয়েছে, ‘আ নো ভদ্রাঃ কৃতবৌ যন্তু বিশ্বতঃ’, অর্থাৎ, মহাবিশ্বের সকল দিক থেকে মহান ভাবনা আসুক।” আর কী বললেন প্রধানমন্ত্রী, আসুন দেখে নেওয়া যাক –
– আরও এক কঠিন বছর পার করলাম আমরা। যুদ্ধ-বিগ্রহ, সন্ত্রাসবাদ, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা, খাদ্য, সার, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য হওয়া প্রাকৃতির বিপর্যয়, দীর্ঘস্থায়ী অর্থনৈতিক সঙ্কট, কোভিড মহামারির মতো চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হয়েছে। স্পষ্টতই গোটা বিশ্ব সঙ্কটে রয়েছে। কতদিন ধরে এই অস্থিরতা চলবে, তাও বলা যাচ্ছে না।
– ভবিষ্যতের চাবিকাঠি রয়েছে গ্লোবাল সাউথের হাতেই। আমাদের দেশগুলিতে বিশ্বের তিন চতুর্থাংশ মানুষ বসবাস করেন। আমাদের উচিত, বৈশ্বিক শাসনের ৮ দশকের পুরোনো মডেল বদলে নতুন মডেল তৈরির চেষ্টা করা।
– ভারত বরাবর বিশ্বের বাকি দেশগুলির সঙ্গে উন্নয়নের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছে। মহামারির সময়ে ১০০-রও বেশি দেশে আমরা ওষুধপত্র এবং টিকা পাঠিয়েছি।
– জি-২০-র সভাপতি হিসেবে আমাদের লক্ষ্য গ্লোবাল সাউথের কণ্ঠস্বর আরও জোরালো করা। আমাদের জি-২০-র সভাতিত্বের থিম হল – ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ’। মানব-কেন্দ্রিক উন্নয়নের মাধ্যমেই এই একতা উপলব্ধি করা যায়। উন্নয়নের ফল থেকে গ্লোবাল সাউথকে আর বঞ্চিত করা উচিত নয়।
– বিশ্বকে নতুন করে জাগিয়ে তুলতে আমাদের ‘প্রতিক্রিয়া, স্বীকৃতি, সম্মান এবং সংস্কার’-এর বৈশ্বিক এজেন্ডা গ্রহণ করা উচিত।
– উন্নয়নশীল বিশ্ব কড়া চ্যালেঞ্জগুলির মুখোমুখি। তা সত্ত্বেও আমি আশাবাদী যে আমাদের সময় আসছে। আমি আশাবাদী, একসঙ্গে গ্লোবাল সাউথ নতুন এবং সৃষ্টিশীল ধারণার জন্ম দেবে। আমি আপনাদের মতামত জানার অপেক্ষায় রইলাম।