জোশীমঠ: ডুবছে জোশীমঠ (Joshimath)। সেখানে বহু বাড়ির মেঝে ও দেওয়ালে ফাটল দেখা গিয়েছে। এখন গুনে হিসেব রাখা কঠিন। বহু মানুষ সেখানে এখন ছাদ ছাড়া। আকাশটাই তাঁদের সম্বল। এবার ভিটেছাড়া মানুষদের সঙ্গে জোশীমঠেই রাত কাটালেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী (Uttarakhand CM) পুষ্কর সিং ধামি (Pushkar Singh Dhami)।
জোশীমঠে বিপর্যয় থাবা বসানোর পর থেকেই পরিস্থিতির দিকে নজর ছিল মুখ্য়মন্ত্রী ধামির। তিনি আগেও এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। সেখানকার দুর্দশাগ্রস্ত বাসিন্দাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন। সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেন তিনি। ইতিমধ্য়েই জোশীমঠের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির জন্য দেড় লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছেন তিনি। এর মধ্যেই বুধবার পরিস্থিতি পরিদর্শনের জন্য পুনরায় জোশীমঠে যান ধামি। সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে পরীক্ষা করেন তিনি। আর গত রাতে সেই বিপর্যস্ত শহরেই রাত কাটালেন পুষ্কর সিং ধামি।
आज पूर्व निर्धारित कार्यक्रमों को स्थगित करते हुए रात्रिप्रवास हेतु जोशीमठ पहुंचकर प्रभावित क्षेत्रों का स्थलीय निरीक्षण कर नागरिकों से मुलाकात की। इस दौरान क्षेत्र में कार्यरत अधिकारियों के साथ चल रहे राहत एवं पुनर्वास कार्यों की समीक्षा की। pic.twitter.com/AWOSllN22Z
— Pushkar Singh Dhami (@pushkardhami) January 11, 2023
প্রসঙ্গত, জোশীমঠের এই পরিস্থিতির জন্য বেশ কিছু নির্মাণ ধ্বংস করার প্রস্তাব করে বিশেষজ্ঞদের কমিটি। প্রাথমিকভাবে মঙ্গলবার দুটি হোটেল ধ্বংস করার কথা ছিল। কিন্তু নির্মাণ ধ্বংস শুরু হতেই বিক্ষোভ, প্রতিবাদ দেখা যায় জোশীমঠে। তাই সাময়িকভাবে সেদিন ধ্বংসের কাজ স্থগিত রাখা হয়েছিল। গতকাল এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে ধামি ফের এলাকাবাসীদের নিশ্চিত করে বলেন, কেবলমাত্র দুটি হোটেলই ধ্বংস করা হবে, কোনও বাড়ি নয়। তিনি বলেন, “আমরা জোশীমঠের মানুষের পাশে রয়েছি। প্রধানমন্ত্রী নিজে গোটা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন। আমাকে তিনি পুরোপুরি সমর্থন করছেন। তাঁদের (ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের) বিষয়টি দেখা হবে।”
मुख्यमंत्री श्री @pushkardhami ने जोशीमठ में राहत शिविर का दौरा कर वहां रुके लोगों से मुलाकात की तथा उनके लिए की गई व्यवस्थाओं का जायजा भी लिया। pic.twitter.com/uQi2RIKOfW
— CM Office Uttarakhand (@ukcmo) January 11, 2023
প্রসঙ্গত, এই শহরের ৭০০ টিরও বেশি বাড়িকে বিপজ্জনক বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। সাততলা মালারি ইন ও পাঁচতলা মাউন্ট ভিউ, এই দুটি পাশাপাশি হোটেল ধসে একে অপরের গায়ে হেলে পড়েছে। এর কারণে পার্শ্ববর্তী আরও বেশকিছু বাড়ি বিপদসীমায় রয়েছে। সেই কারণে এই দুই হোটেল ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। এদিকে এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেই জোশীমঠে হালকা বৃ্ষ্টি হয়েছে গতকাল। এবং চামোলি জেলার সুনীল এলাকায় তুষারপাতও দেখা গিয়েছ। এর ফলে এই পরিস্থিতিতে ভূমিধসের প্রবণতা বেড়েছে জোশীমঠ জুড়ে।