Mumbai Drug Case: চেন্নাইয়ে বদলি করা হল প্রাক্তন এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়েকে

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

May 30, 2022 | 11:11 PM

Mumbai Drug Case: মুম্বইয়ের মাদক মামলার তদন্তের প্রাথমিক দায়িত্বে থাকা প্রাক্তন এনসিবি অফিসার সমীর ওয়াংখেড়েকে সোমবার চেন্নাইতে বদলি করে দেওয়া হল।

Mumbai Drug Case: চেন্নাইয়ে বদলি করা হল প্রাক্তন এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়েকে
প্রাথমিকভাবে মুম্বই মাদক মামলার তদন্তের নেতৃত্বে ছিলেন ওয়াংখেড়ে

Follow Us

নয়া দিল্লি: মুম্বইয়ের মাদক মামলার তদন্তের প্রাথমিক দায়িত্বে থাকা প্রাক্তন এনসিবি অফিসার সমীর ওয়াংখেড়েকে সোমবার চেন্নাইতে বদলি করে দেওয়া হল। মাত্র কয়েকদিন আগেই নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো এই মামলায় আরিয়ান খানকে ক্লিন চিট দিয়েছে। ওই দিনই শোনা গিয়েছিল, শীঘ্রই তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তাঁর বিরুদ্ধে জাত সংক্রান্ত ভুয়ো শংসাপত্র দাখিল করার পাশাপাশি মাদক মামলার ‘তদন্তে গাফিলতির’ অভিযোগ ছিল। এক সূত্র দাবি করেছিল, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিন, অর্থ মন্ত্রকের অধীনে থাকা রাজস্ব বিভাগ এবং সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস এই বদলির আদেশ জারি করেছে।

২০২১ সালের অক্টোবর মাসের গোড়ায়, মুম্বইয়ে এক প্রমোদতরীতে আয়োজিত পার্টিতে হানা দিয়েছিল এনসিবি। সেই সময় এনসিবি-র মুম্বই জোনের প্রধান ছিলেন সমীর ওয়াংখেড়ে। প্রাথমিকভাবে তিনিই এই হাইপ্রোফাইল মাদক মামলার তদন্ত পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন। এনসিবি কর্তা হিসাবে তার আগে বেশ কয়েকটি অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর নেতৃত্বে নার্কোটিক্স ব্যুরো, মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে বেশ কয়েকজন বলিউডি ব্যক্তিত্বকে জেরা ও গ্রেফতার করেছিল। তার মধ্যে ছিলেন শাহরুখ খানের পুত্র আরিয়ান খানও। লাফিয়ে বাড়ছিল সমীর ওয়াংখেড়ের খ্যাতি। কিন্তু, আরিয়ান খান গ্রেফতার হওয়ার পরই বিপাকে পড়েছিলেন তিনি।

তাঁর বিরুদ্ধে, সরকারি চাকরি পাওয়ার জন্য জাত সংক্রান্ত ভুয়ো শংসাপত্র দাখিল করার অভিযোগ তুলেছিলেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক। ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে তিনি তোলাবাজি ও আরও কিছু অনিয়মের অভিযোগও করেছিলেন। ২০২১ সালের অক্টোবর মাস শেষ হতে না হতেই এই মামলার তদন্ত থেকে সমীর ওয়াংখেড়েকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় তাঁকে বদলি করা হয়েছিল এনসিবির মধ্য জোনে। এর কয়েক মাস পর, অবশ্য পলাতক গ্যাংস্টার দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে যুক্ত একটি অর্থ পাচার মামলায় নবাব মালিককে জেলে পাঠানো হয়েছিল।

তবে শুধু জাত সংক্রান্ত জাল নথি পেশ করা নয়, সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে মাদক মামলার তদন্তের ক্ষেত্রেও বেশ কিছু অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। প্রথমত, তদন্তের প্রয়োজনে তিনি যেসব অনুসন্ধান চালিয়েছিলেন, কোনওটিরই ভিডিওগ্রাফি করা হয়নি। আরিয়ান খানের ফোনে চ্যাটের বিষয়বস্তু বিশ্লেষণেও ত্রুটি ছিল। কোনওভাবেই সেগুলি ব্যবহার করে আরিয়ানকে এই মামলার সঙ্গে যুক্ত করা যায় না। মাদক সেবনের বিষয়টি প্রমাণ করার জন্য কোনও মেডিকেল পরীক্ষা পর্যন্ত করা হয়নি।

সাক্ষী জোগার করার ক্ষেত্রেও ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। মাদক মামলার সাক্ষীদের অভিযোগ, তাদের সাদা কাগজে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা হয়েছিল। প্রমোদতরীতে ছিলেনই না, এমন ব্যক্তিদেরও সাক্ষী সাজানো হয়েছিল। সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে আরও একটি গুরুতর অভিযোগ হল, মাদক মামলায় তিনি সব অভিযুক্তের বিরুদ্ধেই একই অভিযোগ এনেছিলেন। আরিয়ান খানের সঙ্গে কোনও মাদক না পাওয়া গেলেও, তাঁকেও ওই অভিযোগেই অভিযুক্ত করা হয়েছিল।

Next Article